বাসস
  ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:২৯

সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছি: আসিফ মাহমুদ

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইত্যোমধ্যে সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

তিনি আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

একই সঙ্গে কূটনৈতিক পাসপোর্ট ক্যানসেল করেছেন বলেও জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। 

নির্বাচন করলে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করবেন কিনা জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ইতিমধ্যে আজ সকালেই আমি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছি এবং আমার যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে সেটাও আমি ক্যানসেল করেছি।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে আমাকে ডাকা হয়েছে, বাকিটা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আপনাদের জানানো হবে।

আপনি এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন করবেন কিনা বিষয়টা স্পষ্ট করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ধোঁয়াশা রাখছি না, এ বিষয়ে আসলে সত্যিকার অর্থেই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। আর এ বিষয়ে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আপনারা সবাই জানতে পারবেন এবং যে দলের কথা বললেন অবশ্যই যারা গণঅভ্যুত্থানে আমার সহযোদ্ধা ছিলেন তারাই সেই দলটা করেছে। তবে আমি আরো অনেক আগেই বলেছি যে এটা ধরে নেয়া ঠিক হবে না যে আমি সেই দলেই যুক্ত হব বা অংশগ্রহণ করব। তবে আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি মনে করি যে আপনাদের জায়গা থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের প্রতি আসলে মনোযোগটা দেওয়া উচিত।

আপনি কোন দল থেকে নির্বাচন করবেন এবং কখন পদত্যাগ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি নির্বাচন করবো এটা স্পষ্টভাবেই বলা যায়। কিন্তুকোন দল থেকে করব সেটা পরবর্তী ডিসকাশনে জানা যাবে। আমরা এখন একটা পর্যায়ে আছি, পরের পর্যায়ে সেটা সবার সামনে আসবে। 

তিনি বলেন, আর পদত্যাগ বিষয়ে প্রশ্ন করলেন, সে বিষয়ে আমার কোন কিছু বলার ইখতিয়ার নেই। সেটা আমাদের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আপনাদের যথাসময় জানিয়ে দেওয়া হবে। আমার কোন কিছু বলার অনুমতি নেই। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবে।

উপদেষ্টা পদে থেকে নির্বাচন করার সুযোগ নেই, সেক্ষেত্রে আপনি তফশিলের আগে পদত্যাগ করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটা ইতিমধ্যে আমি নিজেও বলেছি যে উপদেষ্টা পদ থেকে নির্বাচন করা উচিত না। যদিও আইনগত কোন বাধ্যবাধকতা এক্ষেত্রে আসলে নেই। আমি যেটা নিজে বলেছি সেটা আমি নিজেও প্র্যাকটিস অবশ্যই করব। তবে এই বিষয়ে আর কোন ইনফরমেশন দেয়ার সুযোগ আমার নেই। এটা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর থেকে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেটার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি তো এখনো একটা সিস্টেমের মধ্যে আছি। তাই আমাকে সিস্টেম ফলো করতে হয়। যদি উপর থেকে কোন নির্দেশনা আসে, সেটাকে আমার মেনে চলতে হয়। তো সেই জায়গা থেকে এ বিষয়ে আমি এখন আজকে কিছু বলতে পারছি না।

উপদেষ্টা বলেন, দায়িত্বে থাকাকালীন অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিদায় নেয়ার পরে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আমি মনে করি কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকেই বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগও করেছেন। অনেক সংবাদ মাধ্যমও করেছে। যদিও আমাদের জায়গা থেকে আমরা সেটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। বাক স্বাধীনতা থাকবে এবং সেটার যেন প্রকৃত ব্যবহারটাও সবাই নিশ্চিত করে। সৎ ব্যবহারটা নিশ্চিত করে এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। আমার দিক থেকে আমি প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করব। আপনাদের দিক থেকে আপনারা করবেন এটাই প্রত্যাশা থাকবে।