বাসস
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:১০

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অজ্ঞাত শহীদদের লাশ উত্তোলন অব্যাহত

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অজ্ঞাত ১১৪ জন শহীদের পরিচয় শনাক্ত করতে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের লাশ উত্তোলন কার্যক্রম চলেছে। স্বজনদের ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে।

গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে অজ্ঞাতনামা শহীদদের লাশ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানোদের শনাক্তকরণের পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এ পর্যন্ত সাত পরিবারের ১১ জন সদস্য তাদের প্রিয়জনের লাশ শনাক্তের আশায় অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) ডিএনএ নমুনা প্রদান করেছেন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. জসীম উদ্দিন খান বাসস’কে বলেন, জুলাই শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করা এবং পরিবারের কাছে তাদের লাশ হস্তান্তর করা একটি বিশাল কাজ।

ডিএনএ সংগ্রহ ও ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল রোববার দু’জনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। পরে লাশগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হয়।

সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, আজ চারজনের লাশ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুয়িস ফনডিব্রাইডার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের একটি দল বড় পরিসরে এ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন।

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সংবেদনশীল কাজটি সহজ করার জন্য কবরস্থানের ভেতরে বিশেষায়িত তাঁবু ও সরঞ্জাম স্থাপন করেছে। 

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান অজ্ঞাতনামা শহীদদের লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।

অজ্ঞাতনামা লাশ শনাক্তকরণের জন্য এ আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম।

আবেদনে বলা হয়, যথাযথ ময়নাতদন্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং লাশগুলোকে আইনগতভাবে ও সঠিকভাবে শনাক্ত করার জন্য উত্তোলন অপরিহার্য।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, পরিচয় নিশ্চিত হলে লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।

প্রক্রিয়াটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ উৎসর্গকারীদের জন্য ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।