শিরোনাম

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। নারী ও কন্যা শিশুর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে নারী বিদ্বেষী প্রচারণাকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
আজ বুধবার ঢাকার গুলশানস্থ লেকশোর গ্রান্ডে বিশ্বব্যাপী জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতাবিরোধী ১৬ দিনের ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সত্ত্বেও দেশে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা এখনো ক্রমবর্ধমান। মানুষের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব থাকায় সমাজে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিসংখ্যান লক্ষণীয়।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী মনোভাব দূর করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন মুক্ত বাংলাদেশ তখনই সম্ভব, যখন সমাজের প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা ও সম্মানের পরিবেশ নিশ্চিত হবে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি সামাজিক সম্মিলিত প্রয়াসই সহিংসতার অবসানে ভূমিকা রাখতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা ঘটলে মন্ত্রণালয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমের কাছে পৌঁছে যাবে। আমার মন্ত্রণালয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তৃণমূল পর্যায়ে পর্যন্ত সেবা দানের লক্ষ্যে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এনজিওগুলোর নেটওয়ার্ক তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত এবং তাদের সঙ্গে সমন্বয় করা গেলে আমরা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সহায়তা পৌঁছাতে পারব।
সাইবার সহিংসতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ডিজিটাল স্পেসেও সচেতনতা বাড়াতে হবে। কারণ সেখানেও সহিংসতা ব্যাপক। তরুণ-তরুণী উভয়ের মধ্যেই একটি পশ্চাৎপদতার ন্যারেটিভ তৈরি হচ্ছে। এটি ভেঙে নতুন সচেতনতা, সমতা ও সম্মানের ন্যারেটিভ গড়ে তুলতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। নির্বাচনের আগে জানতে হবে নারী অধিকার, নিরাপত্তা ও সমতা বিষয়ে তাদের অবস্থান কী। কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়া বড় কোনো রূপান্তর সম্ভব নয়। আমি মনে করি তাদের একটি দায়িত্ব রয়েছে। এ দেশের পরিবর্তনে তরুণরা যে জাগরণ সৃষ্টি করেছে, তাদের কাজে লাগাতে হবে। বিজ্ঞানমনস্ক প্রযুক্তিবিদ্যা তরুণদের কাজে লাগাতে হবে।