বাসস
  ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪০

শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শনিবার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ছবি: বাসস

নাটোর, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন ও গুণগত মানের শিক্ষা প্রদান করে তাদের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ কথা বলেছেন।

আজ (শনিবার) সকালে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীই সম্ভাবনাময়। তারাই ভবিষ্যতের সুনাগরিক। তাদের অপার সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা গেলে তাদের শারীরিক বিকাশও ঘটবে। এতে শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হবে এবং পড়াশুনায় মনোযোগী হবে। 

অধ্যাপক বিধান রঞ্জন বলেন, গুনগতমানের শিক্ষা এবং সুষম ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি সহ-শিক্ষা অর্থাৎ খেলাধূলা, সংগীত, বিতর্ক, বক্তৃতা আয়োজনের মাধ্যমে শিশুর মানসিক ও চারিত্রিক বিকাশ ঘটে। নিয়মিত স্কুলে গেলে শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলার মধ্যে আসে, তাদের নৈতিক বিকাশ ঘটে এবং সামাজিকতায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সাবলীলভাবে মাতৃভাষায় পড়তে ও লিখতে পারা এবং গণিতের নিয়মগুলো ঠিকমত পারাই প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  ফিডিং কর্মসূচি’ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান। আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আবাসিক রিপ্রেজেনটেটিভ ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমিনিকো স্ক্যালপেলি, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আরিফ হোসেন, গুরুদাসপুরের ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীনা রানী সরকার এবং শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনহাতা ও আফরিন শরীফ।

জানা যায়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০২৭ সাল পর্যন্ত দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লক্ষ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ স্কুল কর্মদিবসে ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমী ফল, রুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ-তথা পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, প্রকল্পের  লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও গুণগত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করা এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ হাজার ৪৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। সরকারের এ আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে এবং আগামীর ভবিষ্যতকে আরও সুন্দর করে তুলবে।