বাসস
  ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৩৪
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:২৫

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে নতুন রাষ্ট্রদূতের অঙ্গীকার

বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশে নবনিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি বাস্তব সুফল বয়ে আনবে এমন দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বাড়ানোর অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন ।

রাষ্ট্রদূত চিরাসাওয়াদি ঢাকায় দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বার্তায় বাংলাদেশের গতিশীল অগ্রগতি ও জাতীয় স্বাতন্ত্র্যের গভীর প্রশংসা করে এ দেশকে ‘গৌরবময় ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি ও দৃঢ় মনোবলের এক উদীয়মান অর্থনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও সাংস্কৃতিক ঘনিষ্ঠতার কারণে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব থাইল্যান্ডের জন্য দিন দিনই বাড়ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘বঙ্গোপসাগর এই দুই দেশের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এই সংযোগ বৃহত্তর আঞ্চলিক যোগাযোগের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করছে।’

দ্বিপাক্ষিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ক্রমাগত বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এখন থাইল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’

তিনি আরও বলেন, উভয় দেশরই রয়েছে অভিন্ন ‘সমাজ, আতিথেয়তা ও সহনশীলতার গভীর মূল্যবোধ’ যা পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর করার একটি দৃঢ় ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।

বিমসটেক-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে উভয় দেশই কাজ করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের আসন্ন সভাপতিত্বকালে থাইল্যান্ড যোগাযোগ, অর্থনৈতিক সংহতি ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

রাষ্ট্রদূত চিরাসাওয়াদি এর আগে ২০০০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও হৃদয়বান মানুষে পূর্ণ এই অঞ্চলে আবার ফিরে আসতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন বলেও জানান ।

চিরাসাওয়াদি থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, সদিচ্ছা ও সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।