শিরোনাম
ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৫(বাসস) : শেখ হাসিনার শাসন আমলে গুমের শিকার বন্দীদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল। বিশেষ বন্দীদের ডাকা হতো ‘মোনালিসা’ নামে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ননা আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এ তুলে ধরলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এদিন এক পর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তির হাত কেটে ফেলা, নখ উপড়ে ফেলা, ঘুর্নায়মান চেয়ারে বসিয়ে কিংবা ইলেকট্রনিক শক দিয়ে লোমহর্ষক সব নির্যাতন করা হতো।
এছাড়া গুমের শিকার বন্দীদের আলাদা ‘কোড নেইম’ ছিল। বিশেষ বন্দীদের ডাকা হতো ‘মোনালিসা’ নামে। আর গুম ঘরকে বলা হতো ‘আর্ট গ্যালারি’, যা পরবর্তীতে ‘আয়না ঘর’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
অন্যদিকে, গোপন বন্দীশালা গুলোকে ‘হাসপাতাল’ বা ‘ক্লিনিক’ নামে ডাকা হতো। আর গুমের শিকার ভুক্তভোগীদের বলা হতো ‘সাবজেক্ট’।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে আজ গ্রেফরাতি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১।
প্রসিকিউসন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দুই মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই সাথে আসামীদের গ্রেপ্তার করে হাজির করতে আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। এখন দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।