শিরোনাম
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।
আজ রোববার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকেল ৫টা থেকে দেড় ঘণ্টা এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, শ্রম আইন সংশোধনসহ ব্যবসায় খাতে নানা সমস্যার বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিজেএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, সাবেক সভাপতি তপন চৌধুরী ও নাসিম মনজুর, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, প্রাণ গ্রুপের প্রধান আহসান খান চৌধুরী, বিকেএমইএ’র সভাপতি এম এ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ)-এর সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজেএমইএ’র মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এস এম ফজলুল হক প্রমুখ।
বৈঠকের পরে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে বড় বড় ব্যবসায়ীরা আজ এখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের আসার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে- একটি হচ্ছে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং অন্যটি শ্রম আইন সংশোধন। এই দুটি বিষয় বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন, “সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য যদি আমরা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিতে চাই, যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, তাহলে এই মুহূর্তে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, “ব্যবসায়ীরা মতামত দিয়েছেন যে, বর্তমান সরকারকে জাতিসংঘে একটি চিঠি দেওয়া উচিত- বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে এই মুহূর্তে প্রস্তুত কিনা তা জানাতে। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সরেজমিনে এসে বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রত্যক্ষভাবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।”
বিজেএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “আমরা যারা বিজনেস কমিউনিটির সদস্য, শিল্প পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত, আমরা আজ আলোচনা করেছি। আমাদের অনেকগুলো ব্যবসায়িক উদ্বেগ রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হচ্ছে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের স্থগিতকরণ এবং শ্রম আইন সংশোধন।”
তিনি বলেন, “শ্রম আইন সংশোধনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আপনারা জানেন, ১২৪ টি পয়েন্ট নিয়ে টিসিসিতে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ১২২টি পয়েন্টে আমরা একমত হয়েছি। যে দুটি পয়েন্টে একমত হতে পারিনি, তার বাস্তবসম্মত কারণ রয়েছে।”
এদিকে সন্ধ্যায় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে গুলশানের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ‘ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’- এর চিফ অব পার্টি ক্যাথেরিন সিছিল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি চিফ অব পার্টি আমিনুল এহসান এবং প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর আবদুল আলীম। এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।