বাসস
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৩১

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া উদ্বোধন

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে আজ সাত দিনব্যাপী যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ শুরু হয়েছে। ছবি: বাসস

চট্টগ্রাম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে আজ রোববার থেকে সাত দিনব্যাপী যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ শুরু হয়েছে।

সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামের বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে মহড়াটি আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক, এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ। তিনি মহড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মহড়ার মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মেডিভ্যাক (উদ্ধার অভিযান) সমন্বয়, বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও বৈমানিক কার্যক্রম, প্যারাসুট ও লিটার রিগিং, রোটারি-উইং হোইস্ট অপারেশন, সামুদ্রিক ও বন্যা মোকাবিলা কার্যক্রম, কমব্যাট রাবার রেইডিং ক্রাফট (সিআরআরসি), জঙ্গল সারভাইভাল ও দুর্ঘটনাস্থল ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ প্রতিরোধ (এইচএডিআর)।

এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৯২ জন সদস্য অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়াও মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, মহড়ার উদ্দেশ্য হলো দুই দেশের বিমান বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়, আন্তঃকার্যক্ষমতা জোরদার করা এবং সহযোগিতা শক্তিশালী করা। পাশাপাশি মহড়ার মাধ্যমে বিমান বাহিনী, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা প্রদান করা হবে, যা দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বন্ধন আরও দৃঢ় করবে।

মহড়া চলাকালীন বিভিন্ন বাস্তবমুখী অনুশীলন এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতি আয়োজন করা হবে, যাতে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা বাস্তব পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সমন্বয় ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হন। এর ফলে দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং মানবিক সহায়তার কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।