শিরোনাম
ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে পছন্দের শীর্ষস্থানে রয়েছেন।
প্রচণ্ড বিক্ষোভে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর ‘জেন জি’ বিক্ষোভকারীদের একজন প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
কাঠমান্ডু থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মঙ্গলবার দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় সরকার উৎখাত এবং সংসদে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর, ৩ কোটি মানুষের হিমালয়ের এই দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী কারফিউ জারি করে।
বিক্ষোভ আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে একজন সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও ‘জেন জি’র প্রতিনিধিদের’ সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মী রক্ষা বাম বলেন, ‘এখনই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সুশীলা কার্কির নাম আসছে। আমরা এখন প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপ নেওয়ার অপেক্ষায় আছি।’
সোমবার কাঠমান্ডুতে সরকারের স্বল্পস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই দমন-পীড়নে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়।
একদিন পর, বিক্ষোভ দেশব্যাপী ক্ষোভের ঝড়ে পরিণত হয়, সরকারি অফিস, একটি বড় হোটেল ও অন্যান্য ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
উদ্ভূত বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি বন্দী কারাগার থেকে পালিয়ে যায়।
বাম এএফপিকে বলেন, ‘আমরা সেনাপ্রধানের সাথে ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছি।’ ‘কথোপকথনটি ছিল দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রেখে আমরা কীভাবে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে।’
৭৩ বছর বয়সী শিক্ষাবিদ এবং নেপালের প্রথম সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কার্কি এএফপিকে বলেছেন যে ‘এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করার জন্য বিশেষজ্ঞদের একত্রিত হওয়া দরকার।’
তিনি আরো বলেন, সংসদ এখনও টিকে আছে।
সাংবিধানিকভাবে, ৮০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের উচিত বৃহত্তম সংসদীয় দলের নেতাকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো।
কিন্তু রাজনৈতিক পুরাতন শক্তির বেশিরভাগই দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছে।
কার্কির প্রতি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন সর্বসম্মত নয়।
বুধবার ডিসকর্ড প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার লোকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় কর্মীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন, তা নিয়ে বিতর্ক করেছিলেন। এতে বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছে।
পরস্পরবিরোধী যুক্তি তুলে ধরা হয় ও বেশ কয়েকটি নাম প্রস্তাব করা হয়।