বাসস
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৫

সীমান্ত সুরক্ষা ও অবৈধ অভিবাসন রোধে ইইউর সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইউরোপীয় কমিশনের অভিবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক পরিচালক মিশেল শটারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসন রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছেন।

ইউরোপীয় কমিশনের অভিবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক পরিচালক মিশেল শটারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

সাক্ষাৎকালে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক, অভিবাসন, মানবপাচার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার ও সীমান্ত সুরক্ষাসহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়।

শুরুতে উপদেষ্টা আবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক পরিচালককে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের উন্নয়নের অংশীদার ও পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের শ্রমশক্তির একটি বিশাল অংশ ইইউভুক্ত দেশে কাজ করছে। 

আমরা সবসময় বৈধভাবে দক্ষ ও স্বল্পদক্ষ শ্রমিক পাঠাতে চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ,  স্বল্প দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার জন্য তিনি পরিচালককে অনুরোধ জানান।

পরিচালক মিশেল শটার ইইউভুক্ত দেশে সাম্প্রতিক অভিবাসন বিরোধী আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ ক্রমাগত বাড়ছে বলে জানান। তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলাদেশি নাগরিকদের তার ইউনিয়নভুক্ত দেশে অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিষয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানান। দেশের পটপরিবর্তন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে পরামর্শ দেন।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ মানব পাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, অবৈধ অভিবাসন, মানব পাচার এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বাংলাদেশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে মানবপাচার সিন্ডিকেটের কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। মানব পাচার সংক্রান্ত আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হচ্ছে। পুলিশ সংস্কারের কাজও চলমান রয়েছে। 

বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা ও অবৈধ অভিবাসন রোধে ইইউর সহযোগিতা আশা করছে বলেও উপদেষ্টা বৈঠকে অবহিত করেন। ইইউ অভিবাসন বিষয়ক পরিচালকও এ বিষয়ে একসাথে কাজ করার আশ্বাস দেন।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মিশেল মিলার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।