বাসস
  ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৪:২৬

বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বুধবার পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান কমিটির ২য় পর্যায়ের প্রতিবেদন জমা দেন। ছবি : চিফ এডভাইজার জিওবি

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় পর্যায়ের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাঁর কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন জমা দেন পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত চাকুরিতে বঞ্চনার শিকার এবং উল্লিখিত সময়কালের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট গঠিত কমিটি দুই ধাপে কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

কমিটি প্রথম ধাপে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে বঞ্চনার আবেদনসমূহ পর্যালোচনাপূর্বক ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রধান উপদেষ্টার নিকট প্রতিবেদন দাখিল করে।

দ্বিতীয় ধাপে প্রশাসন ক্যাডার ব্যতিরেকে অন্যান্য যেসব ক্যাডারে ৩য় গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদ রয়েছে সেসব ক্যাডারের বঞ্চিত কর্মকর্তাগণের নিকট হতে আবেদন আহবান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩১৮ টি আবেদন জমা পড়ে। তন্মধ্যে ৬৮ টি আবেদন কমিটির আওতাবহির্ভূত এবং ৪০টি আবেদন তথ্যগতভাবে অসম্পূর্ণ হওয়ায় মোট ১০৮ টি আবেদন বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি। ফলে কমিটি কর্তৃক পর্যালোচনাযোগ্য আবেদন ছিল ২১০ টি। এ সকল আবেদন যাচাই-বাছাই করার জন্য কমিটি ১৪ টি সভা করেছে।

প্রত্যেক ক্যাডারের আবেদন বিবেচনার সময় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের লিখিত সুপারিশ, বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধির মতামত এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করেছে।

উল্লেখ্য, গ্রেড-১ পদে ১২ জন, গ্রেড-২ পদে ৩২ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৩৪ জন কর্মকর্তাসহ মোট ৭৮ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি প্রদান করা যেতে পারে মর্মে কমিটি সুপারিশ করেছে।

পদোন্নতির জন্য সুপারিশকৃত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কমিটি ৬ জন কর্মকর্তাকে ৩ ধাপ, ১৭ জন কর্মকর্তাকে ২ ধাপ এবং ৫৫ জন কর্মকর্তাকে ১ ধাপ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে।

১৩২ জন কর্মকর্তাকে কমিটি পদোন্নতির সুপারিশ করেনি।

তাদেরকে কেন পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়নি প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রেক্ষিতে, পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০২৫ প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হয়।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।