বাসস
  ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫৪

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে গুরুত্বারোপ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং বেসামরকি প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর কথা বারবার জোর দিয়ে বলা হয়েছে। এই সমন্বয় হবে একটা স্থানীয় পর্যায়ে এবং আরেকটা জাতীয় পর্যায়ে। দুই জায়গাতে খুব দ্রুততার সাথে সমন্বয় জোরদার করতে বলা হয়েছে।’

অপতথ্য রুখতে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রচুর অপতথ্য ছড়ানো শুরু হয়েছে। সামনে এটা আরো বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে একটা ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে, যেখানে আমরা খুব দ্রুততার সাথে অপতথ্যকে চিহ্নিত করতে পারব।’

সভায় এ বিষয়ে  বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, নির্বাচনের সময় যেসব জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলোকে নির্বাচনের আগেই দ্রুততার সঙ্গে চিহ্নিত করতে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যে জায়গাগুলোতে সমস্যা হতে পারে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনে করে, সেই স্পটগুলোকে নির্বাচনের আগে দ্রুত চিহ্নিত করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কী ধরনের বাড়তি ব্যবস্থা প্রয়োজন হতে পারে, সে বিষয়ে পরামর্শ জানাতে তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে কর্মরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে সমন্বয়ের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে রিপোর্ট কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে, যাতে করে সরকারের জ্যেষ্ঠ দায়িত্বশীলরা মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।’ 

এছাড়াও নির্বাচনের সময় প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে আলোচনা এবং এ বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।