শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ ভোররাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৯ বছর বয়সী এক শিশু মারা গেলে এই সংখ্যা দাঁড়ায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ওই শিশুর নাম নাফিস। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। আগের দিন এই হাসপাতালেই তার বোন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আজ সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আগের দিনের ২৮ জন থেকে বেড়ে ২৯ জন হয়েছে এবং আহতদের মধ্যে ৫৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এ বিমান দুর্ঘটনায় মোট ৩১ জন নিহত এবং ১৬৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আজ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম ইনস্টিটিউটে ভর্তি আহতদের পর্যবেক্ষণ করেছে। এই মেডিকেল আরও কিছুদিন আহতদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।
তিনি বলেন, বিমান দুর্ঘটনার শিকার কোনো রোগীকে আপাতত দেশের বাইরে পাঠানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নাসির উদ্দীন জানান, এখন পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনায় আহত ৪৪ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এই রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টিমের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি কেস পৃথকভাবে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্তও দিয়েছেন।
নাসির উদ্দীন আরও বলেন, এসব রোগীকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ জনকে ‘ক্রিটিক্যাল’ (গুরুতর), ১৩ জনকে ‘সিবিআর’ (সম্পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন) এবং ২৩ জনকে ‘ইন্টারমিডিয়েট’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই রোগীদের অবস্থা প্রতি ঘণ্টায় পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য প্রতি ১২ ঘণ্টা পরপর আমরা মিটিং করব এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিম কতদিন বাংলাদেশে থাকবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এ বিষয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।