শিরোনাম
ঢাকা, ২২ জুলাই ২০২৫ (বাসস): ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১শ’ জনের বিরুদ্ধে দুদকের করা ৬ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৩১ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই ৬ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে ৪ ও ৫ নম্বর আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
৬ মামলার মধ্যে শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ ১৭ জন, শেখ হাসিনা-আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৮ জন ও শেখ হাসিনা-রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ১৮ জনের মামলার বিচার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার বিশেষ জজ-৪ নম্বর আদালতে। শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, শেখ হাসিনা-সজীব ওয়াজেদসহ ১৭ ও শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের মামলার বিচার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ নম্বর আদালতে।
আজ দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০ জুলাই পৃথক ৬ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১শ’ জনের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তারা অনুপস্থিত থাকায় আদালত মামলাগুলো বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব।
চলতি বছরের ১২-১৪ জানুয়ারির মধ্যে এসব মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
১২ জানুয়ারি প্রথম মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। এতে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তদন্তে আরও ২ জন যুক্ত হয়ে চূড়ান্ত আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮-এ।
১৩ জানুয়ারি তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া মামলা করেন। পরে আরও ২ জন যুক্ত হয়ে চূড়ান্ত আসামি হন ১৮ জন।
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে আরও ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
সবশেষে ১৪ জানুয়ারি ২টি মামলা হয়। শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। পরে তদন্তে আরও ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ জনে। মামলাটির তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান মামলা করেন। পরে তদন্তে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।