বাসস
  ২২ জুলাই ২০২৫, ১৫:৫৪

উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত : নিহত ৩১, আহত ১৬৫

সোমবার দুপুরে উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার কাজ ফায়ার সার্ভিস। ছবি: আইএসপিআর

ঢাকা, ২১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও অন্তত ১৬৫ জন আহত হয়েছে।

আজ দুপুর সোয়া ২ টায় আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আহতদের বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)সহ নিকটস্থ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

আহতদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৮ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৬ জন, ঢাকা মেডিকেলে ৩ জন, ঢাকা সিএমএইচ-এ ২৮ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে ১৩ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে এক জন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক জন, ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে দুই জন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিন জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

নিহতদের মধ্যে ১০ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে, এক জন ঢাকা মেডিকেলে, ১৬ জন ঢাকা সিএমএইচ-এ, দুই জন উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে, এক জন উত্তরা আধুনিক হসপিটালে এবং এক জন ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

সংস্থাটি জানায়, এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত। হতাহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও সার্বিক সহায়তায় তারা তৎপর রয়েছে।

বিমান বাহিনী প্রধান সরকারি সফরে বিদেশ থাকায় তার অনুপস্থিতিতে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।

এছাড়া সেনাপ্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সামরিক বাহিনী এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে আইএসপিআর জানায়।

আইএসপিআর জানায়, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলাস্থ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ে (যার বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে)।

বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটি উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়।