বাসস
  ১৬ জুলাই ২০২৫, ২২:৫৯
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ২৩:০৬

প্রথমবারের মত শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ছবি: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

ঢাকা, ১৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : স্পিনার মাহেদি হাসান এবং ওপেনার তানজিদ হাসানের নৈপুন্যে প্রথমবারের মত শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। 

আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকা ৭ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৮৩ রানে জিতেছিল। 

এবারের শ্রীলংকা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এবারের লংকান সফর শেষ করল লিটন দাসের দল।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে বল করতে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের শেষ বলে কুশাল মেন্ডিসকে ৬ রানে বিদায় দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। 

পরের ওভারে তিন নম্বরে নামা কুশাল পেরেরাকে থামান সিরিজে প্রথম খেলতে নামা স্পিনার মাহেদি। গোল্ডেন ডাক মারেন পেরেরা।

পঞ্চম ওভারে শ্রীলংকার তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান মাহেদি। ৪ রানে দিনেশ চান্ডিমালকে বিদায় দেন মাহেদি। এতে পাওয়ার প্লেতে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলংকা। 

শ্রীলংকাকে চাপমুক্ত করতে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। কিন্তু জুটিতে ১৫ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তারা। ৩ রান করা আসালঙ্কাকে বোল্ড করেন মাহেদি। 

এক প্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রেখে হাফ-সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতে মাহেদির বলে ফিরতি ক্যাচ দেন নিশাঙ্কা। ৪টি চারে ৩৯ বলে ৪৬ রান করেন নিশাঙ্কা। 

দলীয় ৬৬ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে নিশাঙ্কা ফেরার পর শ্রীলংকাকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন কামিন্দু মেন্ডিস ও দাসুন শানাকা। তবে সেটি সম্ভব হয়েছে শানাকার কল্যাণে। শরিফুলের করা শেষ ওভারে ২টি করে চার-ছক্কায় ২২ রান তুলেন শানাকা। এতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩২ রান করে শ্রীলংকা। 

৪টি চার ও ২টি ছক্কায় শানাকা ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ বলে ২১ রান করেন কামিন্দু। 

৪ ওভারে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন মাহেদি। 

১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পেসার নুয়ান থুশারার বলে লেগ বিফোর আউট হন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। 


শুরুর ধাক্কা শক্ত হাতে সামাল দেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ও অধিনায়ক লিটন দাস। পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তুলেন তারা। 

নবম ওভারে লিটনকে হারায় বাংলাদেশ। কামিন্দুকে শিকার হবার আগে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ বলে ৩২ রান করেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদের সাথে ৫০ বলে ৭৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন টাইগার দলনেতা। 

দশম ওভারে চার মেরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তানজিদ। ২৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করতে ৫টি ছক্কার সাথে ১টি চার মারেন তিনি। 

হাফ-সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ৬০ রানে কামিন্দুর বলে থিকশানার হাতে ক্যাচ দিয়ে বাঁচেন তানজিদ।   

লিটন ফেরার তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৮ বলে ৫৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২ উইকেটে ১৩৩ রান তুলে ২১ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তানজিদ। 

১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে অনবদ্য ২৭ রান করেন হৃদয়। 

শ্রীলংকার থুশারা ও কামিন্দু ১টি করে উইকেট নেন।