বাসস
  ০৯ জুন ২০২৫, ২০:২৭

সিরাজুল আলম খান ছিলেন ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক 

রাজনৈতিক তাত্ত্বিক প্রয়াত সিরাজুল আলম খান। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৯ জুন, ২০২৫ (বাসস): বক্তারা বলেছেন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও সশস্ত্র সংগ্রামের প্রধান সংগঠক রাজনৈতিক তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খান দেশের বিদ্যমান ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক ছিলেন। 

আজ সোমবার রাজনৈতিক তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খানের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবসে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। 

সিরাজুল আলম খানের স্বাধীন দেশ উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা বিনির্মাণের আদর্শ ধারণ করে গড়ে ওঠা সংগঠন যুব বাঙালি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় সিরাজুল আলম খানের সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জেলা কমিটির আহ্বায়ক মশিউর রহমান মাসুম।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমান দিপু, মোহাম্মদ রানা, মোহাম্মদ মিঠু, আল আমিন, নাজমুল, শিমুল মজুমদার, মোহাম্মদ খোকন, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী পারভেজ, নোয়াখালী জেলা যুব দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাবু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি) সভাপতি তৌফিকুজ্জামান পীরাচা, জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখ যোদ্ধা নাহিদুল ইসলাম, যুব বাঙালির উপদেষ্টা কাজী তানসেন।

বক্তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে যে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে তার গোড়াপত্তন হয়েছিল ১৯৭২ সালে। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে যে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা চাপানো হয়েছিল তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান। স্বাধীন দেশ উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে ১৫ দফা সুপারিশমালা হাজির করেছিলেন তিনি।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি বিকাশের আলোকে শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সামাজিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন সিরাজুল আলম খান। 

তাঁর এই প্রয়াণ দিবসে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সামাজিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।