শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ মে, ২০২৫ (বাসস): ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আজ বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও বাস্তবে এটি "ডিজিটাল দ্বীপপুঞ্জের" একটি নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, "গত ১৫ বছর ধরে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল দ্বীপপুঞ্জ তৈরি করা হয়েছে এবং দ্বীপপুঞ্জগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।"
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর ভূমি ভবনে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং আলোচনা সভায় তৈয়ব এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে পরিষেবার চলমান রূপান্তরের কথা তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের পূর্বে পৃথক ডিজিটাল পরিষেবাগুলি এখন একটি একক প্ল্যাটফর্মে একীভূত করা হবে, যা ডিজিটাল রূপান্তরের গতি ত্বরান্বিত করবে।’
ফয়েজ আহমদ বলেন, এই পরিবর্তন দুটি প্রধান ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হচ্ছে: প্রথমত, মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোর রূপান্তরের মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়ত, প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচিত একটি নাম "নাগরিক পরিষেবা" নামক একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, জিপিএস এবং জিও-ফেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি জরিপ পরিচালিত হবে, যার ফলে জমির মালিকরা চাইলে গুগল আর্থে জরিপ কার্যক্রম দেখতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী পর্যায়ে, এই জরিপের তথ্য ভূমি মালিকানা রেকর্ড, আইনি মামলার অবস্থা এবং রাজস্ব আদায়ের বিবরণের সাথে সংযুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, জমির অংশ সম্পর্কিত সকল তথ্য, মালিকানা, ম্যাপযুক্ত ইন্টারফেস একটি একক ডিজিটাল গেটওয়ের মাধ্যমে দেখা যাবে।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রকৃত ডিজিটালাইজেশনের বাস্তবায়ন ঘটবে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আ জ ম সালাউদ্দিন নাগরী এবং ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।