শিরোনাম
রংপুর, ৭ মে, ২০২৫ (বাসস): জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পোমেল বড়ুয়াকে প্রধান আসামি করে আট পুলিশসহ ৭১ জন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০/১০০ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে মামলাটি করেছেন বেরোবির রেজিস্টার হারুন অর রশীদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাজহাট থানার ওসি শাহ আলম সরদার।
মামলায় বাকি আসামিরা হলেন- উপ পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহানুর আলম পাটোয়ারি, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল আমরান হোসেন, আরিফুজ্জামান, সাবেক তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।
গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, সহকারী রেজিস্ট্রার হাফিজুর রহমান তুফান, সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ, উপ রেজিস্ট্রার নিরাপত্তা শাখার তৌহিদুল উসলাম জনি, প্রক্টর অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেন, কর্মচারী আমির হোসেন, মাস্টার রোল কর্মচারী নুরনবী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি (নিরাপত্তা শাখা) নুর আলম, সহকারী রেজিস্ট্রার (ডেসপ্যাচ শাখা) আখতারুল ইসলাম, সেমিনার সহকারী আশিকুন্নাহার টুকটুকি, সমাজ সেবা বিভাগের উপ রেজিস্ট্রার মাহবুবা আক্তার, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কর্মচারী মাহবুবার রহমান বাবু, প্রক্টর অফিসের কর্মচারী আপেল, নিরাপত্তা দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাবেক ভিসি পিএস আবুল কালাম আজাদ।
বেরোবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিধান বর্মন, গ্লোরিয়াস ফজলে রাব্বি, মমিনুল হক, আখতার হোসেন, শাহীন ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবির শাহরিয়ার অনিক, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর শামিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান, শাহিদ হাসান সিদ, ইমরান চৌধুরী আকাশ, সাংগঠনিক বিভাগ ধনঞ্জয় কুমার টগর, সাখাওয়াত হোসেন, ফরহাস হোসেন এলিট, সেজান আহম্মেদ ওরফে আরিফ, পিপাস আলী, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় রায়, প্রচার সম্পাদক সাব্বির হোসেন ওরফে রিজান, উপ প্রচার সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক মানিক চন্দ্র, সিয়াম আরাফাত, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত রহমান আবির, উপ স্কুল বিষয়ক সম্পাদক শোয়াইবুল ইসলাম ওরফে সাল্লু, সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ব সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রায়হান, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অমিত হাসান ওরফে অমিত, উপ অটিজম বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান হৃদয়, উদ্যোক্তা উদ্ভাবন বিষয়ক সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমন, মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক গাজিউর রহমান উপ সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক রিফাত হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা তানভির আহম্মেদ, আরিফ হোসেন, নাফিউল ইসলাম, আবু সালেহ নাহিদ, বায়েজিদ মোস্তাকিম। এছাড়াও রংপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী সাহান সিদ্দীকি রনি, তাজহাট থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিকরুল মাহবুব শোভন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শিপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আতিকুল বারি জামিন ২৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা শামিম হাসান হিটন, আহসান হাবিব লালন, শাহরিয়ার নয়ন, আল আমিন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ইশাক রিজন, সায়িব বিন আশরাফ আনন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাকির মুসা, নয়ন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বাসস’ কে জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রংপুরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে প্রথম শহীদ হন বেরোবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ। তিনি ১৬ জুলাই আন্দোলনে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হওয়ায় পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। শহীদ আবু সাইদের দুই হাত প্রসারিত করে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনার ভিডিও দেশে বিদেশে ভাইরাল হলে দেশে বিশ্বে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায়।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী জানান, ৫ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর বেরোবিতে আন্দোলন দমন ও তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কালে ওই সময়ের ভিডিও ছবিসহ আনুষঙ্গিক প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে ৭১ জন শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীকে চিহ্নিত করে নিশ্চিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সব কিছু পর্যালোচনা করে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা শতাধিক ব্যক্তির নামে বুধবার মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।