শিরোনাম
ঢাকা, ২১ মে, ২০২৫ (বাসস) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, ভূমিকম্প ঝুঁকির মাত্রা কমাতে পরিকল্পিত নগরায়ণ গড়ে তুলতে হবে। ভূমিকম্পের ঝুঁকি কল্পনাতীত নয়। দুর্যোগ প্রস্তুতি ও বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।
আজ বিয়াম ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ইউএনডিপি আয়োজিত ‘ওয়ার্কশপ অন স্টেংথেনিং মাল্টি-হ্যাজার্ড প্রিপেয়ার্ডনেস: ফোকাস অন আর্থকোএইক অ্যান্ড আরবান রিজিলিআনস- শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে লিখিত বক্তব্যে একথা বলেন।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, বাংলাদেশ তিনটি বড় ভূ-টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার কম্প্রিহেনসিভ ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম, ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম ও আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের মতো বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) প্রবর্তনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর আওতায় মন্ত্রণালয় ও সহযোগী সংস্থাগুলো ভূমিকম্প পরবর্তী দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম, অনুসন্ধান, চিকিৎসা ও অন্যান্য তৎপরতায় এক সঙ্গে কাজ করবে। এটি স্ট্যান্ডিং অর্ডার ফর ডিজাস্টার (এসওডি)-এর আওতামুক্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, জনসংখ্যায় অতিমাত্রায় ঘনত্ব, শহরে জনসংখ্যায় চাপ, ভৌগোলিক অবস্থান ও বাস্তবতা বিবেচনায় যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জ্ঞান ও মানের ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বাস্তবমুখী কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। ইউএনডিপি’র নেতৃত্বে ট্রেনিং এক্সারসাইজ ও ড্রিল প্রোগ্রাম ভূমিকম্প মোকাবিলায় নগর অনুসন্ধান ও উদ্ধার সক্ষমতা গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে।
কর্মশালায় ভূমিকম্প ও নগর স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দায়ারাত্নে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান প্রমুখ।