বাসস
  ২৬ জুলাই ২০২৩, ২০:৫৯

সততা ও স্পষ্টবাদিতায় প্রজন্মের আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুস

ঢাকা, ২৬ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সিনিয়র সহ-সভাপতি, প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুস সততা ও স্পষ্টবাদিতায় এ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন। 
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ডিইউজে আয়োজিত শোক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। 
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, কুদ্দুস ছিলেন একজন মেধাবী মানুষ। নীতি আদর্শের প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন তিনি। তার মতো মানুষ আমাদের ইউনিয়নের জন্য প্রয়োজন ছিলো। 
বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মৃত্যুর কয়েক দিন পরই আমরা সবকিছু ভুলে যাই। তাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তা করলে ভালো মানুষ অমর হয়ে যায়। পরিবার উপকৃত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, অসম্ভব মেধাবী, অদম্য সাহসী ও অনন্য দৃঢ়চেতা একজন মানুষ ছিলেন এমএ কুদ্দুস। তিনি যে আলো জ্বেলে গেছেন সেই আলোয় আমরা পথ চলতে পারবো। সমাজ পরিবর্তন করতে হলে আগে নিজেদের আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটতে হবে।
বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, তিনি শুধু একজন শিল্পীই ছিলেন না, ছিলেন একজন যোগ্য ও সৎ ট্রেড ইউনিয়নিস্ট।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কুদ্দুসের মতো  স্বল্পভাষী, বিনয়ী, সৎ এবং দৃঢ়  চরিত্রের গুনাবলী  খুব কম মানুষের মাঝেই পাওয়া যায়। সত্যকে সত্য বলা, কালোকে কালো ও সাদাকে সাদা বলার সৎ সাহস তার ছিলো। আমরা তাকে দীর্ঘদিন মনে রাখবো। তিনি আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছেন, শিখিয়েছেন। 
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন একটু আলাদা। যা বিশ্বাস করতেন তাই করে দেখাতেন। শিশির দা ও রনবি’র পর সেরা কার্টুনিস্ট হলেন কুদ্দুস। তাকে আমার পত্রিকায় নিতে চেয়েছিলাম, সেটি আর হয়ে ওঠেনি। 
দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক বলেন, দীর্ঘকাল একসঙ্গে কাজ করেছি আমরা। প্রতিদিন একটা করে কার্টুন আঁকতো সে। 
সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সাধারণত কার্টুনিস্ট থেকে কেউ ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকান্ডে থাকেন না। আন্দোলন সংগ্রামে পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে এম এ কুদ্দুস ছিলেন ব্যতিক্রম। ইউনিয়নে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন তিনি।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, প্রতিবাদী সত্ত্বা ছিলো এম এ কুদ্দুসের। তার প্রতিবাদী সত্ত্বার বিকাশ ঘটেছে শিল্পে, কর্মে ও সংগঠনে। 
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোকসভা সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এস এম সাইফ আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুরাইয়া অনু, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, আসাদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, সিনিয়র সাংবাদিক শাহ নেওয়াজ দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক পরিবার সমবায় সমিতির সভাপতি আল মামুন ও সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আছাদুজ্জামান।  

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়