বাসস
  ১০ জুন ২০২৩, ১৬:১৮
আপডেট  : ১০ জুন ২০২৩, ১৯:৩৪

বিচার প্রার্থীদের স্বার্থে সিরাজগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

সিরাজগঞ্জ, ১০ জুন, ২০২৩ (বাসস) : বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য গতকাল শুক্রবার সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার।  
সেখানে এক অনুষ্টানে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেছেন, সাক্ষীর অভাবে মামলা অনেক পিছিয়ে যায়। বাটোয়ারা মামলা তো শেষই হয় না। দেখা যায়, একটি পরিবারে চার ছেলে। তাদের দু’জন দেশের বাইরে কাজ করতে চলে যায়। সেই সাক্ষীর জন্য কিন্তু বসে থাকতে হচ্ছে। কবে সাক্ষী আসবে? এসব ক্ষেত্রে জজ সাহেব ও আইনজীবীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।
সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের শহীদ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাড়ে সম্মেলন কক্ষে বিচারাধীন পুরাতন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত নিষ্পত্তি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।  
বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ছোট ছোট ট্রাইব্যুনাল আছে, সেগুলোতে না গিয়ে যদি হাইকোর্টে চলে যায়, তাহলে দেখা যায়, হাইকোর্টেই চলে যায় ৮/১০ বছর। কেন হাইকোর্টে মামলা শুনানি করা হবে না, মর্মে যদি একটি রুল দেয়া হয়-সেই রুলটার শুনানি হতেই ৫/৬ বছর লেগে যায়। 
সিরাজগঞ্জ আদালতের মামলা নিষ্পত্তির পরিসংখ্যানে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তৃতা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ মো. নাসিরুল হক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সালমা খাতুন, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ্, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার, অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক কানিজ ফাতেমা ও জজ ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) মো. আহসান হাবিব।  এসময় বিচারকবৃন্দ, আদালতের কর্মকর্তা, আইনজীবী, পিপি, জিপি ও স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 
বিচারের জন্য আসা বিচার প্রার্থীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে দেশের প্রত্যেক জেলার মতো সিরাজগঞ্জেও ন্যায়কুঞ্জ গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে থাকছে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ইউনিট। ব্রেস্টফিডিংয়ের জন্য মায়েদের আলাদা কক্ষ, প্রত্যেক ইউনিটে দ’ুটি করে টয়লেট। সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও একটি স্টেশনারি দোকান।  

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়