বাসস
  ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:১৭

সরকার ঢাকাসহ সারা দেশের পরিবেশ উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে : পরিবেশমন্ত্রী

সংসদ ভবন, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিগত ১৩ বছরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। 
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,  রাজধানী ঢাকার পরিবেশ উন্নয়ন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার ২০১১ সালে ঢাকা মহানগরীর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের আলাদা কার্যালয় স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় যে কোন প্রকার শিল্পকারখানা স্থাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর রাজধানী ঢাকার আবাসিক এলাকার মধ্যে কোন প্রকার শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অনুমতি দিচ্ছে না। পাশাপাশি পরিবেশ আইন অমান্য করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা অবৈধ শিল্প কারখানাসমূহ বন্ধ করতে বা পরিবেশ সম্মতভাবে পরিচালনার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান,  ঢাকা মহানগরীতে বিদ্যমান শিল্প প্রতিষ্ঠানের তরল বর্জ্য নির্গত হওয়ার কারণে পানিদূষণ রোধে বর্জ্য নির্গমনকারী সকল কলকারখানায় বর্জ্য পরিশোষণাগার স্থাপন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ছাড়পত্র বা ইটিপি ব্যতিত কোন শিল্প কারখানা স্থাপন বা কারখানা পরিচালনা করলে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর ২০৯টি প্রতিষ্ঠানে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া শিল্প বর্জ্য হতে দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে তরল বর্জ্য নির্গমণকারী সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে জিরো ডিসচার্জ পলিসি বাস্তবায়ন ও আইপি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন জানান, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে রক্ষায় বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী ও তাদের ফোরশোর অঞ্চলকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ রোধকল্পে বায়ুদূষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জোরদারকরণসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪৮টি মামলা দায়ের পূর্বক ৪ লাখ ৯৬ হাজার ঢাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে অবস্থিত অবৈধ দূষণকারী ইটভাটা সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকাসহ আশেপাশের জেলার সকল অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ও মোবাইল কোর্ট অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গত এক বছরে ১ হাজার ৭৭২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ হাজার ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক ৭৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধে ঢাকা মহানগরীতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৬ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ধার্যপূর্বক আদায় এবং ৭ হাজার ২০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়