বাসস
  ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৩:১০

নওগাঁয় চ্যাপা শুটকী তৈরি করে আত্মনির্ভরশীল ২০ গৃহবধু

নওগাঁ, ২৯ নভেম্বর, ২০২২ (বাসস) : চ্যাপা শুটকী তৈরি করে সমবায় ভিত্তিতে অর্থনৈতিকভাবে আত্ম নির্ভরশীল হওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ২০ জন গৃহবধু। তাঁদের সাংসারিক নৈভিত্তিক কাজের অবসরে সমন্বিতভাবে চ্যাপা শুটকী তৈরির কাজ করছেন।
পতœীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের রাউতারা গ্রামের নিলুফা বেগম। আকবরপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তিনি পেশায় গৃহিনী।
মৎস্য বিভাগের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে একই পার্শ্ববর্তী আরও ১৯ জন গৃহিনীকে সাথে নিয়ে সমিতি গড়ে তোলেন। তারা চ্যাপা শুটকী তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এখন থেকে ৬ মাস আগে প্রথম পর্যায়ে বাজার থেকে  ৬০ কেজি পুঁটি মাছ ৩০০ টাকা কেজি করে ক্রয় করেন। সেই মাছের নাড়ী ফেলে দিয়ে তেলেগুলোকে বোতলে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা হয়। সেই পুটিমাছ নির্দিষ্ট সময় শুকিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে ঐ শুটকী মাছ আগে থেকেই সংরক্ষিত মাছের তেলের সাথে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। পরে একইভাবে মাটির মটকী ( বড় পাত্র)'র অভ্যন্তর ওই মাছের তেল দিয়ে মেখে নিয়ে তার ভিতর পুঁটি মাছগুলো ভালোভাবে গেঁজে গেঁজে পুরে ফেলতে হবে। এরপর মাটির ওই পাত্রের মুখ বিশেষভাবে বন্ধ করে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে।
এভাবে দীর্ঘ ৬ মাস মাটির নিচে পাত্রগুলোকে রাখতে হবে। ৬ মাস পর এগুলো প্রকৃতভাবে খাওয়ার উপযোগী হয়।
চ্যাপা শুটকী’র উদ্যোক্তা নিলুফা বেগম জানিয়েছেন ,প্রথম পর্যায়ে ৬০ কেজি পুঁটি মাছের শুটকী তৈরি করেছেন। তৈরি হওয়ার পর ওজন তিনগুণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ পুরোপুরি শুটকী হওয়ার পর এর ওজন হয়েছে ১৮০ কেজি। এসব শুটকীর চলমান  সেই হিসেবে তাদের তৈরি চ্যাপা শুটকীর বিক্রি মূল্য পাবেন ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তাদের খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ২০ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে তারা নীট লাভ করবেন প্রায় ৯০ হাজার টাকা। সংসারের সব কাজ সময় মত সম্পাদন করেও  অতিরিক্ত হিসেবে এ আয় করছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আমিমুল এহসান বলেছেন চ্যাপা শুটকী খুব উপাদেয় এবং সুস্বাদু খাবার। এটি লাভজনকও বটে। পতœীতলা উপজেলার রাউতারা গ্রামের এসব মহিলারা চ্যাপা শুটকী তৈরি করে লাভবান হয়েছেন। এ ব্যাপারে যদি কেউ বা কোন গোষ্ঠী বাণিজ্যিকভাবে চ্যাপা  শুটকী তৈরি করতে চান তাহলে তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়