বাসস
  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:০১

গোপালগঞ্জে ১২৮০ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব

টুঙ্গিপাড়া(গোপালগঞ্জ), ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ (বাসস): আগামীকাল শনিবার থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে জেলার ১ হাজার ২৮০ মন্ডপে শুরু হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। 
ইতিমধ্যে পূজার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মন্ডপ কমিটি। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে এই জেলায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে।  
আগামী ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনব্যাপি এই উৎসব।আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সায়াংকালে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস হবে। দেবীকে জাগ্রত করা হবে। এই পূজা বেল তলায় অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে  উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হবে।৬ষ্ঠী পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে। চন্ডিপাঠ, ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেবে মন্ডপগুলো ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, জেলার ৫ উপজেলায় এই বছর ১ হাজার ২৮০টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমার সাজসজ্জা, মন্ডপ অলংকরণ, আলোকসজ্জাসহ প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। এখন আজ শুক্রবার পঞ্চমী তিথিতে সন্ধ্যায় দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৬ষ্ঠী পূজার আয়োজন শুরু করা হবে।  পূজায় করোনা ও ডেঙ্গু থেকে মুক্তি, দেশ, জাতি ও বিশ্ববাসীর কল্যাণে প্রার্থনা করা হবে।
গোপালগঞ্জের পুরোহিত দিপংকর চক্রবর্ত্তী বলেন, দেবী দুর্গার আগমনে বিশ্বের কল্যাণ সাধিত হবে। দেবী দুর্গা এবার গজে (হাতী) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসছেন । তার আগমনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে। পৃথিবীর শস্য এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কৈলাশে (স্বর্গে)  যাবেন নৌকায়  চড়ে। ধরাধাম(পৃথিবী) ধন ধান্য, পুস্পে ভরে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
শহরের পুরাতন বাজার পূজা মন্ডপ কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার সাহা বলেন, মন্ডপে পূজার পাশাপাশি ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, বস্ত্র বিতরণ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নিদের্শনা মেনে পূজা আর্চণা অনুষ্ঠিত হবে।  আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এবার অনেক বেশি সক্রিয়। মন্ডপে সুরক্ষা দেয়ার জন্য আমরা এ বছর স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করছি। তারা রাতে পাহারা দেবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের সহস্র বছরের ঐতিহ্যবাহী সিদ্ধান্ত বাড়ি পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ লাল দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী পূজায় অর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। শান্তিপূর্ণসহ অবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এ কারণে প্রতি বছর  গোপালগঞ্জ জেলায় পূজার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মন্ডপে দেশ, জাতি ও বিশ্বের সব মানুষের কল্যাণ কামনায় প্রার্থণা করা হবে। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রতিদিনই প্রার্থণার আয়োজন থাকবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা মন্ডপে-মন্ডপে পৌছে দেয়া হয়েছে।পূজার ৫ দিনই প্রধানমন্ত্রীর জন্য মন্ডপগুলোতে বিশেষ প্রার্থণা করা হবে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পূজা মন্ডপে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৯৪ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেনে। এই উপজেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মধ্যে দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়