ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০২১ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম নির্মিত ও নির্মাণাধীন সরকারি-বেসরকারি ও আবাসিক ভবনে নিজ নিজ উদ্যোগে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করার জন্য রাজউক ও স্থাপত্য অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তর ও সংস্থার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। 
তিনি আজ ভার্চুয়ালি আয়োজিত রাজউকের আওতাধীন সরকারি, ডেভলপার, ব্যক্তি পর্যায়ে নির্মিত ও নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার বংশ বিস্তার এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবরোধে নির্মিত ও নির্মাণাধীন ভবনে নিয়মিত তদারকি সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চলমান মশক নিধন কার্যক্রমের সঙ্গে রাজউকসহ সকল দপ্তর ও সংস্থাকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। 
তিনি বলেন, রাজউক ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের অনেকগুলো নির্মাণাধীন ও নির্মিত অবকাঠামো এবং অনেক সরকারি ও বেসরকারি আবাসিক এলাকায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, সকল সরকারি ভবন ও আবাসিক এলাকা, নির্মাণাধীন ভবন এবং কারওয়ানবাজার ও নিউমার্কেটসহ সকল বাজারে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এডিস মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য রাজউকের উপযুক্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব ও রাজউকের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানকে আলাদা আলাদা নির্দেশনা প্রদানসহ সব ধরনের ভবন পরিদর্শন এবং রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন তিনি।
এডিস মশা নিধনে যে সকল ঔষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ছিটানো হচ্ছে  উল্লেখ করে তাজুল বলেন, ঔষুধের কোন ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত ঔষুধ মজুদ রয়েছে। শুধু অভিযান পরিচালনা করেই মশার প্রাদুর্ভাব বন্ধ করা যাবে না। এজন্য দরকার মানুষের সচেতনতা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম এবং রিহ্যাব ও বিএলডিএ’র প্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।