বাসস
  ০১ আগস্ট ২০২১, ১০:১৬

জয়পুরহাটে ২২ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন

জয়পুরহাট, ১ আগস্ট,  ২০২১ (বাসস) : জেলায় গত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পুকুর, হাওড়, বিল ও অন্যান্য জলাশয় থেকে ২২ হাজার ৫১৩ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টন মাছের উৎপাদন হয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়  সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, বর্তমানে জয়পুরহাট জেলার  প্রায় ১২ লক্ষাধিক মানুষের জন্য এক বছরে মাছের  চাহিদা হচ্ছে ২০ হাজার ১১ দশমিক ৫২ মেট্রিক টন মাছ। জেলার পাঁচ উপজেলা মিলে মাছের উৎপাদন হয়েছে  ২২ হাজার ৫১৩ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টন মাছ। উদ্বৃত্ত মাছের পরিমান হচ্ছে ২ হাজার ৫০১ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন মাছ। যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।   জেলায়  ১৮ হাজার ১২৪ টি বদ্ধ জলাশয় থেকে মাছের উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৯০ দশমিক ১২ মেট্রিক টন এবং  ৫১ টি মুক্ত জলাশয় থেকে মাছের উৎপাদন হয়েছে  ১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন। জেলা মৎস্য বিভাগ জেলা মৎস্য বিভাগ ৫ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, ৯৪ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পশ্চাৎপদ এলাকার জনগণের দারিদ্র বিমোচন ও জীবিকা নির্বাহ নিশ্চিত করন প্রকল্প, ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প, ৩ কোটি ৩২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মৎস্যবীজ ও পোণা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প ও মৎস্য খাতে ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প খাতে ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।  মাছ চাষে উদ্বৃত্ত জেলা হওয়ার কারণে জেলায় গড়ে উঠেছে ৭টি মৎস্য খাদ্য উৎপাদন কারখানা। বরফ কলের সংখ্যা ১০টি, মৎস্য বাজার রয়েছে ৭২টি, মৎস্য আড়ৎ হচ্ছে ২০টি । এ ছাড়াও জেলায় মাছের নানা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বিশেষ করে মৎস্য খুচরা বিক্রেতা সহ মৎস্যজীবী ও মৎস্য চাষিদের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার। এতে করে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মৎস্য খাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান, জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার মহীউদ্দিন বাসস’কে জানান, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার মৎস্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। জেলায় নিবন্ধনকৃত জেলে রয়েছেন ৪ হাজার ৫৪০ জন। মাছ ধরতে গিয়ে কারো মৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে জেলেদের নিরাপত্তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি। রোগ বালাই দমনসহ মৎস্য চাষিদের সঠিক নিয়মে মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করতে  মৎস্য চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়