বাসস
  ০৫ জুলাই ২০২২, ১৭:৪৭

শিশুদের জন্য টেকসই পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান ইন্দিরার

ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০২২(বাসস) : বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জন্য টেকসই পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল নেটওয়ার্ক ফর আরলি চাইল্ডহুড (আরনেক) আয়োজিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্স অন আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ সম্মেলনে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ একথা বলেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দুষণরোধে গৃহীত বিনিয়োগ প্রকল্প শিশুবান্ধব করা এবং শিশুদের জন্য একটি টেকসই বিশ্ব গঠনের লক্ষে দ্রুত কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে শিগগিরই আন্তরিক  প্রতিশ্রুতি এবং জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।  
এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ইয়াং চিল্ড্রেন ইন ক্রাইসিস: এড্রেসিং দ্য ইমপ্যাক্ট অফ দি কোভিড প্যানডেমিক, ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল ডিগ্রেডশন’।
আরনেক বোর্ড অব ডিরেক্টরস চেয়ার ড.শেলডন শেফারের সভাপতিত্বে চারদিন ব্যাপী ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইউনিসেফের ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টরস মায়ো জিন নয়েট, ইউনেস্কোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ডিরেক্টরস শিগেরু আয়োগি ও কম্বোডিয়ার শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ড. হ্যাং চুন ন্যারন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড মহামারীতে স্কুল ও শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী একশত পঞ্চাশ কোটি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বিয়াল্লিশ কোটি শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শিশুদের জীবনে ঝুঁকিগ্রস্থ করে তুলছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে ঘরের বাইরের বায়ু দূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক মানের ছয় গুণ বেশি। ফলে পরিবেশ দূষণের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং রোগের উচ্চ ঝুঁকির সৃষ্টি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  
প্রতিমন্ত্রী বলেন,বর্তমান  সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষে আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নীতি ২০১৩ ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৭ বাস্তবায়ন করছে। যার ফলে শিশুদের সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ হচ্ছে।
চার দিন ব্যাপী এ সম্মেলনে নেপাল, ভুটান, ফিজি ও মার্শাল আইল্যান্ডের মন্ত্রীরা যোগ দেন। এছাড়া ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ইসিডি, পুষ্টি, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দুষণ রোধ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এসময় অতিরিক্ত সচিব মো: মুহিবুজ্জামান এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়