// আখতারুজ্জামান //
বগুড়া, ২ জুলাই, ২০২২(বাসস) : গত কয়েক বছর ধরে চোরাপথে পশু না আসায় দেশে গো-খামারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে জেলার হটে ও বড়-বড় খামারে কোরবানির যোগ্য পশু এখন প্রস্তুত। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৫ টি। এবার প্রায় ৬৮ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানান, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবার জেলায় কোরবানির পশুর কোন সংকট হবে না।
এখন অনেক ক্রেতা খামারে ও হাটে পশুর দাম-দর পরখ করছেন দেখছেন। এবার বগুড়ায় কৃষকের ঘরে ও গো খামারের কোরবানি যোগ্য গবাদি পশুর প্রস্তুত (গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ) রয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৯৫ টি।
এখনও কোরবানির হাটগুলো পুরোপুরি জমে না উঠলেও ছোট-বড় অনেক পশু খামারে ক্রেতাদের পদচারণা বেশি। গত কয়েক বছর ধারে কোরবানির পশু কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক ও খামারীর জানান, এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা বেশি। এবার মাঝারী ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাই তারা ছোট ও মাঝারী গরু লালন পালন করেছে বেশি।
গত কয়েক বছর ধরে খামারে কোরবানির গরু ও ছাগল স্কেলে কেজি মেপে বিক্রি হয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। খামারে গরু কিনে সেখানেই রেখে আসছে ক্রেতারা। ঈদের আগের দিন বাড়ি নিয়ে আসবে তারা। এর জন্য ক্রেতাদের কোন বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে না। ডা. সাইফুল জানান, জেলায় এবার কোরবানি যোগ্য গরু আছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ , ছাগল ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৮, ভেড়া ২৮ হাজার ও মহিষ আছে ১ হাজার ৭৩৩ । জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর জানায় গত বছর খামারীর সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৭৮৪ টি। গত বছরের চেয়ে ৬৩১ টি খামার বেশি হয়েছে।
টিএমএসএস ও বগুড়া ভান্ডারের গরু ছাগলে খামারে গিয়ে দেখা গেছে তারা কেজি দরে কোরবানির পশু বিক্রি করছে। তারা জানায় ক্রেতাদের সুবিধার্থে এইব্যবস্থা রেখেছেন। কোরবানির পশুক্রযের পর বিনা খরচে খামারে রেখে দেন ক্রেতারা।
টিএমএসএস গরুর খামারের ম্যানেজার সাঈদ জানান, তারা ৩০০ কেজি পর্যন্ত গরু লইফ ওয়েট বিক্রি করছে ৪৫০ টাকা কেজিতে (এর মধ্যে থাকবে ভুড়ি, গরুর ৪ টি পা, মাথা, চামড়া) এতে ৩০০ কেজির একটি গরুর দাম পড়ছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। তবে ভুড়ি, গরুর ৪ টি পা, মাথা, চামড়া বাদ দিয়ে শুধু মাংসের ওজন হবে ১৮০ কেজি বা সাড়ে ৪ মন। তাতে মাংসের দাম আসবে ৭৫০ টাকা কেজি। ৩০০ কেজির উপরের গরু বিক্রি করা হচ্ছে লাইভ ওয়েটে ৪৮০ টাকা কেজি দরে। তারা গরুর ৬০ শতাংশ মাংস ও ৪০ শতাংশ গরুর ভুড়ি, পা, মাথা ও চামড়া হিসেব কষে মূল্য নির্ধারণ করছে।