বাসস
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:১২

পিরোজপুরে ২শত ৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে

পিরোজপুর, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (বাসস) : পিরোজপুরে ২শত ৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতাল এর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ৮ তলার উপরে আরো ১টি তলা করার জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ আসায় এ ভবনটি নির্মাণের জন্য মোট বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। বেসমেন্টসহ ৮তলার নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধুমাত্র রঙের কাজ বাকি থাকা অবস্থায় আরো ১ তলা নির্মাণের বরাদ্দ আসায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে শুরু হওয়া এ ভবনের নির্মাণ কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন।
১২ তলা বিশিষ্ট হাসাপাতাল ভবনের প্রাথমিক পর্যায়ে ৯ তলা নির্মাণ করা হচ্ছে।
 গণপূর্ত বিভাগের পিরোজপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ সৈকত জানিয়েছেন, এ ভবনের বেসমেন্ট এ ৩৫টি গাড়ী ও ষ্টোর থাকবে। প্রথম তলায় জরুরী ও বর্হিবিভাগ এবং রেডিওলজি বিভাগ থাকবে। ২য় তলায় থাকবে প্রশাসনিক অফিস ও বর্হিবিভাগ। ৩য় থেকে ৬ষ্ট তলায় থাকছে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটার। ৭ম তলায় থাকবে কেবিন। মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য দুটি করে মোট চারটি কেবিন রিজার্ভ থাকবে। এছাড়া ২টি ভিআইপি কেবিনসহ মোট ১৮টি কেবিন থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে পিরোজপুরের ৫০ শয্যার হাসপাতালটিকে ১শত শয্যায় এবং পরবর্তীতে ২শত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করেছে। হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ দেয়ায় নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে করোনাকালেও কাজ এগিয়ে চলেছে। সম্প্রতি ১টি তলা নির্মাণ করে ১০ বেডের আইসিইউ, ১০ বেডের সিসিইউ এবং কিডনী ডায়ালোসিস এর জন্য অর্থ বরাদ্দ এসেছে। ১৭০টি বেড থাকছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। গণপূর্ত বিভাগের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ হাসপাতালটি নির্মাণে কান ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না। শহরের কেন্দ্রস্থলে ২শত ৫০ শয্যার এ হাসপাতাল ভবন নির্মাণ হচ্ছে দেখে অনেকে আনন্দিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রিজার্ভ কেবিন থাকবে শুনে শয্যাশায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর রশিদ মাষ্টার বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যা-যা করেছে তা সত্যিকার অর্থেই প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকে একইসাথে স্বচ্ছল, সম্মানিত, সমাজে মর্যাদার সাথে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তাদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থাও সাথে সাথে নিশ্চিত করা হয়েছে।