বাসস
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:২০
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৪৮

বান্দরবানে জেএসএস সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ১ সেনা সদস্য নিহত, আহত ১

ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ (বাসস): বান্দরবানের রুমার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সাথে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলাগুলিতে একজন সেনাসদস্য নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ খবর জানানো হয়। এতে বলা হয়, বুধবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় বান্দরবান জেলার রুমা জোনের একটি সেনা টহল দলের সাথে জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং একজন সৈনিক আহত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জেএসএস পন্থী সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে আসবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াংলেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি নিরাপত্তা টহল দল এলাকায় যায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় টহল দলটি বথিপাড়া এলাকায় পৌঁছলে নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা টহল দলের উপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ শুরু করে। সদা প্রস্তুত সেনা টহল দলটির দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সাহসী পাল্টা হামলায় জেএসএস মূল দলের ৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হবার আলামত পাওয়া যায়। এ সময় পলায়নপর সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন এবং সৈনিক ফিরোজ নামে একজন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।’
নিহত এবং আহত সেনা সদস্যদেরকে আজ সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই অভিযানে সেনা টহল দল সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১ টি এসএমজি, ২৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩ টি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, ৩ টি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজির নগদ ৫২ হাজার ৯শ’ টাকা জব্দ করে। বর্তমানে সেনা টহল দল স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকায় ব্যাপক তল্লাশী অভিযান চালাচ্ছে।
আইএসপিআর জানায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেনা সদস্যরা নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠির নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান আঞ্চলিক দলসমূহ হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও ভূখ-ের অখন্ডতা রক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।