বাসস
  ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ২১:১০
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ২১:১৪

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামি সোহাগ গ্রেফতার

ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ (বাসস) : রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল মিডফোর্ড হাসপাতাল এলাকায়  বিশেষ অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবির ওরফে টিটু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামি সোহাগ ওরফে বড় সোহাগকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সে রাজধানীর কদমতলী থানার  বিড়ি ফ্যাক্টরী গলি, মুরাদপুর এলাকার  গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাঙ্গালের পুত্র। শনিবার রাত ৮ টার দিকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলার রায় প্রকাশের পর আসল সোহাগ ওরফে বড় সোহাগের পরিকল্পনা মোতাবেক তার ফুফাতো ভাই ও নকল সোহাগ (মো. হোসেন (৩৫), পিতা- মৃত হাসান উদ্দিন) ২০১৮ সালের ১লা জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পন ও জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি মাদকাসক্ত হোসেন ওরফে নকল সোহাগ মাসিক পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে জেল হাজতে যায়। টাকার বিনিময়ে সাজা ভোগ করছে নকল সোহাগ।
আজ রোববার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) এডিশনাল ডিআইজি মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য জানান। র‌্যাব -১০ এর উপ- অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান, র‌্যাব-১০ এর আইনও গনমাধ্যম শাখার সহকারি পরিচালক এএসপি এনায়েত কবীর সোয়েবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের  কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এডিশনাল ডিআইজি মাহফুজুর রহমান জানান, ২০১০  সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানী কদমতলী থানার আউটার সার্কুলার রোডে নোয়াখালী পট্টিতে একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। এ হত্যা মামলায় ওই এলাকার সোহাগ ওরফে বড় সোহাগ (৩৪), একই এলাকার মামুন (৩৩) ও সোহাগ  ওরফে ছোট সোহগকে (৩০) আসামি করা হয়। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়।
র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক  বলেন, আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হুমায়ুন কবির ওরফে টিটু’কে গুলি করে। ভিকটিম টিটুর মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় টিটুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে কদমতলী থানায় একটি  হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
র‌্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার বলেন,  এ মামলার প্রকৃত আসামি সোহাগ সুকৌশলে দেশত্যাগের চেষ্টা করে। সে জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে পাসপোর্ট তৈরি করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সংগ্রহ করে। দেশত্যাগের ক্ষেত্রে করোনার টিকা বাধ্যতামূলক হওয়ায় গতকাল শনিবার  করোনার ২য় ডোজ গ্রহণ করার জন্য সে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল মিডফোর্ড হাসপাতাল আসে। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায়  ২ টি হত্যা, ২ টি অস্ত্র ও ৬ টি মাদক মামলা রয়েছে।