বাসস
  ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:২০
আপডেট  : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৩৩

মাগুরায় বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করে ভালো ফলনের আশা কৃষকের

মাগুরা, ২১ জানুয়ারি, ২০২২ (বাসস) : জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। 
আমন চাষের পরে এবং বোরো ধান চাষের আগে প্রায় ৩ মাসের মত সময় জমি পতিত থাকে। এ সময় কৃষকরা বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করে লাভবান হতে পারেন। স্বল্প জীবনকালীন এ সরিষা চাষে বিঘা প্রতি গড় ফলন প্রায় ৫ মণ হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।  
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৩ হাজার ৩০৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে উন্œত জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। আমান ধানের পরে এবং বোরো ধান চাষের আগে পড়ে থাকা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ করেছেন কৃষকরা। দোআঁশ বেলে-দোআঁশ মাটিতে এ জাতের ফলন ভালো হয়। এর জীবন কাল ৭৫ থেকে ৮০ দিন। স্থানীয় জাতের তুলনায় এ সরিষায় ফলন হয় প্রায় গুন বেশি।   
মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী শেখ এ ২০২১-২২ মৌসুমে সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। সরিষার ফলনও ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। স্থানীয় জাতের সরিষার চেয়ে তুলনামূলকভাবে এ সরিষা চাষ লাভজনক। যে কারনে এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তার অন্য ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে, এ সরিষা চাষের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সে ক্ষতি তিনি পুষিয়ে নিতে পারবেন। 
অপর কৃষক মুকাদ্দেস হোসেন তিনি তার ১ বিঘা জমিতে এ সরিষার চাষ করেছেন। ভালো ফলনের আশায় তার মুখেও হাসি ফুটেছে। তিনি জানান, পড়ে থাকে জমিতে এ সরিষা চাষের অর্থে সংসারে কিছুটা হলেও বাড়তি অর্থের যোগান দেবে। এছাড়া বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার খরচ করে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা ঘরে তোলা কৃষকরে জন্য বড় পাওয়া। 
মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, আমন চাষের পরে এবং বোরো ধান চাষের আগে মধ্যবর্তী সময়ে জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করে আর্থিকভাবে কৃষকরা লাভবান হবেন। অপর দিকে ক্ষেত থেকে সরিষা তোলার পর কৃষকরা বোরা ধান চাষ করতে পারবেন।   

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়