শিরোনাম

ফকিরহাট (বাগেরহাট), ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫( বাসস): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, চিংড়ি রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
আজ শনিবার বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন ও আড়ত মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের চিংড়ির স্বাদ ও মান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে শুধু আকার বা স্বাদ বিবেচ্য নয়; চিংড়ির স্বাস্থ্যমান, পরিবেশসম্মত উৎপাদন পদ্ধতি এবং অ্যান্টিবায়োটিক অবস্থা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়। তাই রপ্তানিকারক ও উৎপাদনকারীদের আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে অবৈধভাবে পণ্য আসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যবসায়ীরাও ন্যায্যভাবে লাভবান হতে পারেন না।
অনেক ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত পণ্য ফেলে দিতে হয়, যা জাতীয় সম্পদের অপচয়।
তিনি আরো বলেন, পদ্ধতিগত ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ এখনো এ খাত থেকে পূর্ণাঙ্গ সুফল অর্জন করতে পারেনি। প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছের পোনা আহরণে আইনগত সীমাবদ্ধতা থাকায় পোনা উৎপাদন বাড়াতে দেশে হ্যাচারির সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক গোলাম মোঃ বাতেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।