শিরোনাম

লক্ষ্মীপুর, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানোর ঘটনায় মো. রুবেল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত এ কে এম শাহজাহান কামালের এপিএস পরিচয়দানকারী শিমুল চক্রবর্তী ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে দিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর জনগণের মধ্যে আতংক তৈরি ও নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবু তারেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার রুবেল লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিমের ভাই। তিনি বিদ্যুৎ অফিসের সাবেক গাড়িচালক। ভাই আজিজ ছাত্রলীগ করায় তিন মাস আগে রুবেলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চাকরিকালীন সময়েই সাবেক মন্ত্রীর এপিএস শিমুলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে এসপি জানায়, রুবেল ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একটি হোটেল থেকে এক লিটার পানির বোতল কেনে এবং পানি ফেলে দিয়ে খালি বোতলটি নিয়ে স্টেডিয়ামের সামনে বেলালের দোকান থেকে ১ লিটার পেট্রোল নেয়।
পরে গভীর রাতে মাস্ক পড়ে নির্বাচন কার্যালয়ে ঢুকে নিচ তলার উত্তর পাশে স্টোর রুমে জানালা খোলা পেয়ে পেট্রোল ঢেলে রুবেল আগুন লাগিয়ে দেয়। বোতলটি নির্বাচন অফিসের বাউন্ডারি প্রাচীরের ওপর দিয়ে ফেলে দেন।
আগুন লাগাতে গিয়ে তার ডান পাশে কানের নিচে ও ডান পাশের দাড়ির কিছু অংশ পুড়ে যায়। এরপর হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে তিনি আগুন লাগানোর দৃশ্যের ছবি তুলে (সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়) দৌড়ে গেইট টপকে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এসপি আবু তারেক জানান, রুবেলের ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তার মোবাইল থেকে ঘটনার সময় তার তোলা আগুন ধরানোর স্থিরচিত্র পাওয়া যায়।
তার মোবাইল কথোপকথন পর্যালোচনা করে ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জেলা খাদ্য গুদাম ও এলজিইডি অফিসে আগুন লাগানোর পরিকল্পনার বিষয়টিও জানা যায়।
রুবেলকে বিকাশে টাকা পাঠানো দুটি মোবাইল নাম্বারও শনাক্ত করা হয়েছে। নির্দেশদাতা ও অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।