শিরোনাম

ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীর অফুরান ভালোবাসায় সিক্ত। আজ বিকাল ৩টায় ৫০ মিনিটে মঞ্চে উঠে হাত নেড়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারেক রহমান। সংবর্ধনাস্থল রাজধানীর ৩০০ ফিটে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তারেক রহমানকে। সেখানে ভাষণ শেষে তিনি তার মা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
তারেক রহমানকে বরণ করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছিল বিএনপি। কুড়িল থেকে সংবর্ধনা মঞ্চ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন রঙের ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। সারাদেশ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসেছেন প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য। বাস, লঞ্চ, ট্রেন ও মাইক্রোবাসে ঢাকায় আসেন নেতা-কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তাকে বহনকারী বিমানটি। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তারেক রহমানকে বরণ করেন শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।
বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফিট সড়কের একটি অংশজুড়ে মঞ্চ তৈরি করা হয়। বুধবার রাতের মধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়। ৪৮ ফুট দীর্ঘ, ৩৬ ফুট প্রশস্ত ও সড়ক থেকে ৮ ফুট উঁচুতে এ মঞ্চ তৈরি করা হয়। প্রায় ৯০০ মাইক লাগানো হয় রাজধানীতে। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে আবদুল্লাহপুর, বিশ্বরোড, বনানী হয়ে মহাখালী, যমুনা ফিউচার পার্ক, ৩০০ ফিটের রাস্তা ধরে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত লাগানো হয় এসব মাইক। পুরো এলাকা সিসি টিভির নিয়ন্ত্রণে ছিল।
সংবর্ধনাস্থলের বাইরে নেতাকর্মীদের ঢল ৩০০ ফিট ছাড়িয়ে বিমানবন্দর সড়ক, উত্তরা-বনানী পর্যন্ত পৌঁছায়। এই লক্ষ্যে দলটি সংবর্ধানস্থল ও আশপাশের সড়কে ৯ শতাধিক মাইকের ব্যবস্থা রাখা হয়। পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডিজিটাল এলইডি ডিসপ্লে স্থাপন করা হয়।
মঞ্চের সামনে ও দুই সাইডের নিরাপত্তার জন্য ২৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত বিশেষ ব্যারিকেড ছিল। ব্যারিকেডের বাইরে উভয়পাশে নেতাকর্মীরা তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানান।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হয়েছে গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান পুলিশ প্রটেকশনসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাবেন। এছাড়া তারেক রহমানের বাসভবন ও অফিসেও থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়া কাউকে তার কাছে ভিড়তে দেবে না পুলিশ। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে ও ছদ্মবেশে গোয়েন্দারা তারেক রহমানের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করবেন।