মঙ্গলবার
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২
শিরোনাম
শিরোনাম
বরগুনা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ( বাসস) : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনা-১ (বরগুনা-আমতলী-তালতলী) আসনে রাজনৈতিক সম্প্রীতি জোরদার ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে সহিংসতা রোধে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসী ফোরাম আয়োজিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় যুক্তরাজ্যের ফরেন কমওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর অর্থায়নে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে বরগুনা-১ আসনের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, যুব প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রার্থী ও পাঁচটি দলের জেলা পর্যায়ের সাধারণ সম্পাদকেরা নিজ নিজ দলের অফিসিয়াল প্যাডে স্বাক্ষরিত চিঠি উপস্থাপন করেন। চিঠিতে নেতাকর্মীদের সহিংসতা পরিহার, শান্তি বজায় রাখা এবং রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব চিঠির অনুলিপি সংলাপে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানকে জনসমক্ষে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক, বরগুনা-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মোল্লা, জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুন, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন ওয়ালী উল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহিন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজালুর রহমান, জেলা নাগরিক অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, বরগুনা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য ইমাম হোসেন, নাসরিন আক্তার, গণ অধিকার পরিষদের সম্পাদক মো. শাকিল খান।
চিত্ত রঞ্জন শীলের সভাপতিত্বে ও দিপু হাফিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপে রাজনৈতিক নেতারা বলেন, কোথাও সহিংসতার আশঙ্কা ও উত্তেজনা সৃষ্টিহলে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। অনলাইনও অফলাইন কোনো মাধ্যমেই ঘৃণামূলকবক্তব্য প্রচার করা হবে না। একইসঙ্গে নির্বাচনী আইন মেনে চলা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তকরা হয়।
