বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৫

মাইক্রোবায়োলজি টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি : ঢাবি প্রো-ভিসি

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস (বিএসএম)-এর ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।

‘মাইক্রোবায়োলজি ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাইক্রোবায়োমভিত্তিক গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ।

তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাইক্রোবায়োলজি আজ অপরিহার্য একটি বিজ্ঞানশাখা। টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে মাইক্রোবায়োমভিত্তিক গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শাকিলা নার্গিস খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস-এর প্রধান বিজ্ঞানী ড. লতিফুল বারী, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস-এর সভাপতি ড. মনিরুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মু. মনজুরুল করিম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করা হয়। পরে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস-এর কার্যক্রম নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

ড. মামুন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এসব ক্ষেত্রে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল গবেষণা টেকসই সমাধান দিতে সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলন কেবল একটি বৈজ্ঞানিক আয়োজন নয়, এটি জ্ঞান বিনিময়, সহযোগিতা ও উদ্ভাবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটর্ফম।

তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রার নেতৃত্ব দেবে আজকের তরুণ প্রজন্ম। তাই তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও গবেষণামুখী মানসিকতা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ উল্লেখ করেন, বিজ্ঞান কখনো একাকী বিকশিত হয় না, বরং পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বিজ্ঞান মানবকল্যাণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে।