বাসস
  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪০

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেবে কেএমপি

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়। ছবি : বাসস

খুলনা, ১৮ ডিসেম্বর. ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা নিরাপত্তার আবেদন জানালে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেএমপি কমিশনার। 

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা নিরাপত্তার আবেদন করলে তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। আবেদনে প্রার্থীদের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে যে তারা কী ধরনের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এরপর বিষয়টি পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট তদন্ত করবে। 

তিনি বলেন, তদন্তে হুমকির বিষয়টি নিশ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কেএমপি কমিশনার বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, নির্বাচনে নাশকতা করার ক্ষমতা কারোর নেই। অন্তত খুলনা মহানগরীতে আমি এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’

তিনি জানান, সরকার নির্বাচনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অভূতপূর্ব উদ্যোগ নিয়েছে। খুলনায় নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকারী পুলিশদের জন্য তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে, বডি ক্যামেরার ব্যবহার, যে-কোনো পরিস্থিতিতে ভোটদান বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের কৌশল এবং অন্যান্য দিক। নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রশিক্ষকদের পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। জানতে পারলাম শহরে তিনটি অপরাধী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ শুরু হয়েছে।’

ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে তিনি বলেন, পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। অপরাধীরা প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত হয়েছে এবং নিয়মিত ফোন কলের পরিবর্তে হোয়াটসঅ্যাপের মতো, এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটর্ফম ব্যবহার করছে, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তা সত্ত্বেও পুলিশের প্রচেষ্টা সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশনস) মোহাম্মদ রশিদুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ও প্রোটোকল) মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) এস. এম. শাকিলুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) টি. এম. রোকনুজ্জামান।