বাসস
  ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ২০:২০

ঢাবির ১৫ গবেষণা কেন্দ্রে পরিচালক নিয়োগে প্রতিবেদন উপস্থাপন

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদগুলোর অধীনস্থ ১৫টি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক নিয়োগে গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ উপস্থাপন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন সার্চ কমিটির সভাপতি ও প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম।

এ সময় কমিটির সদস্য বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশীদ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আদনান কিবার উপস্থিত ছিলেন।

সার্চ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসী অনুষদ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে মোট ১৫টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিবেদনে প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য ৩ জন করে শিক্ষকের নাম সুপারিশ করে ১৫টি প্যানেল উপস্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের জন্য প্রস্তাবিত ৩ জনের প্যানেল থেকে উপাচার্য ১ জনকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ করবেন। 

এদিকে প্যানেল প্রস্তুতের জন্য সার্চ কমিটি বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে। এর মধ্যে ছিল, শিক্ষকদের কাছ থেকে সরাসরি আবেদন ও তাদের মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা আহ্বান, অনুষদ সভার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ডিনদের কাছ থেকে নামের তালিকা সংগ্রহ এবং কমিটির সদস্যদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক অনুসন্ধান। 

এসব প্রক্রিয়া শেষে প্রাপ্ত তালিকার মধ্য থেকে প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ইত্যাদির ভিত্তিতে সার্চ কমিটি প্রতিটি কেন্দ্রের পরিচালক নিয়োগের জন্য ৩ জন করে শিক্ষকের নাম সুপারিশ করে পৃথক প্যানেল চূড়ান্ত করে।

প্রতিবেদন গ্রহণকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সার্চ কমিটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এসব প্যানেল প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন ও গতিশীল করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় এই উদ্যোগ একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।