শিরোনাম

ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর সংস্থাসমূহে সেবার মান বৃদ্ধি, সেবাগ্রহিতাদের হয়রানী রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৯১ তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আগস্টের পরে এই যে বিশাল পরিবর্তন, এই যে বিশাল প্রত্যাশা, এই যে বড় জনআকাঙ্ক্ষা, সে জনআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে আমরা যদি নিজেদের মেলাতে না পারি তাহলে কিন্তু জাতির সঙ্গে একটা বড় রকম প্রতারণা করা হয়। আপনারা এই প্রতারণায় অংশ নিবেন না।’
তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, অন্য যে কোনো কমিশনের চাইতে এই কমিশন একটু আলাদা; এই কারণে যে, কমিশনের ভেতরে যে দুর্নীতি আছে এটা আমরা প্রশ্রয় দেইনি। যার যেখানে দুর্নীতির স্মেল পাওয়া গেছে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অনুসন্ধান এবং তদন্ত সক্রিয় আছে।
এছাড়া দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মু. মাসুদ রানা ও পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান বক্তৃতা প্রদান করেন।
গণশুনানিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম সভাপতিত্ব করেন। গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানীর শিকার বা সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ তাদের অভিযোগসমূহ সিলেট জেলার সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে সেবা বঞ্চিত জনসাধরণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
গণশুনানিতে দুদকের তফসিলভুক্ত ৭৩ টি অভিযোগের শুনানি হয়। যার মধ্যে ৩ টি অভিযোগ অনুসন্ধানে নেয়া হয়, ২৮ অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয় এবং বাকি অভিযোগসমূহ প্রতিবেদন দাখিল সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা হবে।
সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই গণশুনানির মূল অভিপ্রায়।
এর আগে গণশুনানিতে জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের জন্য সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহব্যাপী মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, বুথ স্থাপন করে অভিযোগ সংগ্রহ, অভিযোগ বাক্স স্থাপনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুদকের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হয়।