বাসস
  ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৩৭

অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে : কুমিল্লায় কৃষিসচিব

বৃহস্পতিবার কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমির আন্তর্জাতিক হলরুমে কৃষি রূপান্তর বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত। ছবি: বাসস

কুমিল্লা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ বলেন, দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কৃষিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। গার্মেন্টস শিল্প প্রায় ৪০ বছর ধরে অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু বর্তমানে এ খাতটি নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় খাদ্য ও অর্থনীতি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে কৃষির বিকল্প নেই।

কৃষি খাতকে টেকসই ও আধুনিক রূপে গড়ে তুলতে কুমিল্লায় দেশের কৃষি রূপান্তর বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) আন্তর্জাতিক হলরুমে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব বলেন, প্রতিটি কাজের জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। কৃষি রূপান্তরের জন্যও সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। আজকের কর্মশালায় আউটলুক ২০৫০ নামের একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী ২৫ বছরের দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কৃষি ক্ষেত্রে ক্রিটিক্যাল বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং এসবের সমাধান দ্রুত করতে হবে। বর্তমানে কৃষি নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষি বিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের ‘খাদ্য ও কৃষি সংস্থা’ (্এফএও) এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বার্ডের মহাপরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার টেকনিক্যাল এডভাইজার মার্টিন মাওগুস্টিনি।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমান। 

প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কৃষি উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সমন্বিত মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা ২০৫০ সালকে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রনয়ণ করবো। যা কৃষির সঙ্গে সহখাতসমূহকে একীভূত করে কাজ করবে। যেমন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, মৎস অধিদপ্তর কৃষির সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত।

কর্মশালায় অন্যান্য বক্তারা বাংলাদেশের কৃষি খাতে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, ‘এগ্রিকালচার সেক্টর ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (এএসটিপি)’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের কৃষি ব্যবস্থা হবে আরও আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও জলবায়ু-সহনশীল। স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি, সৌরশক্তি, ড্রোনভিত্তিক চাষাবাদ এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, গবেষক, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্থানীয় কৃষক নেতৃবৃন্দ।