শিরোনাম

ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন স্বয়ংক্রিয় ধৌতকরণ ব্যবস্থা (ওয়াশিংপ্ল্যান্ট) প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এবং অতিরিক্ত মূল্যে মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়ের অভিযোগে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দুদক জানায়, ২০০টি মিটারগেজ কোচ ও ৫০টি ব্রডগেজ কোচের সাথে ২টি অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে ওয়াশিংপ্ল্যান্ট দুটির যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও সেগুলো যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থাপন না করায় এবং প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিভিন্ন অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় না নেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় প্ল্যান্টটি নিশ্চল পড়ে আছে।
এছাড়া ২০১৬ সালে ক্রয়কৃত ১৫০টি মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহের চাহিদাপত্র প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার তালকান্দা খালের উপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে টিম নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনকালে সংযোগ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অভিযানের পর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, ভাঙ্গা থেকে প্রকল্প সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, যা পর্যালোচনান্তে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়া, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা প্রদানে বিভিন্ন অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে অন্য একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক পরিবেশ, চিকিৎসাসেবা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক দিকগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে।
অভিযান চলাকালীন দেখাযায়, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মান সন্তোষজনক নয়। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ অনুযায়ী, হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন এবং সেবারমান ও আশানুরূপ নয়। উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে টিম প্রাপ্ত অনিয়মসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা গ্রহণ করে এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে। হাসপাতালের রেজিস্টার, উপস্থিতি খাতা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি সংগ্রহ করে অভিযান টিম।
দুদক জানায়, অভিযান গুলোতে সংগৃহীত তথ্যাবলি পর্যালোচনা করে টিমকমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।