বাসস
  ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৪

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনায় দুদকের মামলা

ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও অর্থ পাচারের অভিযোগে বায়রার ছয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বায়রার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকালে সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেট গঠন করে বিএমইটি ও বায়রার রেজিস্ট্রেশনের শর্ত ভঙ্গ করেন। তারা সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে একেক শ্রমিকের কাছ থেকে প্রায় কয়েকগুণ বেশি অর্থ গ্রহণ করে মালয়েশিয়া প্রেরণ কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৬টি প্রতিষ্ঠান মোট ৩১ হাজার ৩৩১ জন শ্রমিকের কাছ থেকে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আসামিরা শ্রমিকদের পাসপোর্ট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অন্যান্য খাতে বাড়তি অর্থ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং অবৈধভাবে সংগৃহীত অর্থ ছদ্মাবৃত্তির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন। এসব কর্মকাণ্ড দণ্ডবিধির ১২০(বি)/১৬১/১৬২/১৬৩/১৬৪/১৬৫(ক)/৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে রয়েছে মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (আরএল নং-৯৮১)-এর স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন, মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লি. (আরএল নং-৯৩৩)-এর চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী (কিরণ) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহানা ফেরদৌস, ৩. সাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল (আরএল নং-৪৯২)-এর স্বত্বাধিকারী শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, ইমপেরিয়াল রিসোর্স লি. (আরএল নং-১৮৭৪)-এর চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লি. (আরএল নং-১৩০৭)-এর চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলমগীর কবীর, থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (আরএল নং-১৭৭৯)-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমসের আহমেদ।

দুদক জানায়, এসব মামলায় অভিযুক্তরা শ্রমিকদের কাছ থেকে অনুমোদিত ফি’র বাইরে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন এবং অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করেছেন। তবে কর্মী কর্তৃক প্রদত্ত সাব-এজেন্ট, বিমান টিকিট ও অন্যান্য মধ্যস্বত্বভোগীর খরচ, যার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯০ টাকা এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত নয়।