শিরোনাম

বান্দরবান, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
বান্দরবান সদরের রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন সংলগ্ন সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকার আয়োজনে নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার দিনব্যাপী এই মহা ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
কঠিন চীবর দান উপলক্ষে ভোর ৫টায় বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় সূত্র পাঠের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের প্রাতরাশ, বুদ্ধপূজা, অষ্টপরিষ্কার দান, মহাসংঘদান, কঠিন চীবরদান ও ধর্মদেশনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
চীবর, শীল ও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন শীলঘাটা পরিনির্বাণ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত রত্নপ্রিয় মহাথের, সুচিয়া সুখান্দ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত অতুলানন্দ মহাথের এবং বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত চন্দ্র জ্যোতি স্থবিরসহ জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুসংঘরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সম্পদ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক অসীম বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক রুপন বড়ুয়া, ভাণ্ডার রক্ষক সম্পাদক নিপু বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক রাহুল বড়ুয়া ছোটনসহ বিহারের দায়ক-দায়িকা ও বিপুলসংখ্যক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
জানা যায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাটকা চীবর (কাপড়) তৈরি করে ভিক্ষুসংঘকে দান করার মধ্য দিয়ে এই দান কর্ম সম্পন্ন করা হয়। বৌদ্ধ শাস্ত্রমতে, এই কঠিন চীবর দান সর্বোচ্চ পূণ্যদায়ী দান হিসেবে বিবেচিত হয়, যা কায়িক, বাচনিক ও মানসিক পূন্য সঞ্চয়ের মাধ্যমে সুখ ও শান্তি বয়ে আনে।
প্রতি বছর এ সময়ে বান্দরবানের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ভক্তরা একত্রিত হয়ে এই চীবর তৈরি ও দান কর্মে অংশগ্রহণ করেন, যা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।