বাসস
  ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:০৩

যশোরে ভ্যানচালক হত্যায় তিন আসামি গ্রেপ্তার

যশোর, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): যশোরের ঝিকরগাছায় ভ্যানচালক মাসুম বিল্লাল ওরফে মাসুদ (১৯) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। 

হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ভ্যানটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত মাসুদ শার্শা উপজেলার উলাশী গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গত ৬ অক্টোবর ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ভ্যানচালক মাসুদ। ১০ অক্টোবর ঝিকরগাছার বায়শা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত বাড়িতে মাসুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাসুদের বাবা ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটির তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ প্রথমে মূল আসামি আলী হাসানকে (২৫) বুধবার দিবাগত রাত চারটার দিকে শার্শা উপজেলার উলাশী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাঈদ জানান, গ্রেপ্তার আলী হাসানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তার সঙ্গে ভ্যানটি কেনা-বেচায় জড়িত অপর দুই আসামি মো. শরিফুল ইসলাম (৩৮) ও মো. কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুলকে (৩৬) সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের সহযোগিতায় যুগিপুকুরিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতার আলী হাসান সাতক্ষীরা জেলা পাটকেলঘাটা থানার ভৈরবনগর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। এছাড়া গ্রেফতার শরিফুল ইসলাম একই থানা এলাকার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের মৃত মোস্তফা মুফতির ছেলে এবং কামরুজ্জামান সরদার একই গ্রামের সোহরাব সরদারের ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃত আলী হাসান পুলিশকে জানায়, সে এবং পলাতক আরেক আসামি মিলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শার্শা বাজার থেকে মাসুদের ভ্যানে ওঠে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পর তারা মাসুদকে ঝিকরগাছার বায়শা গ্রামের ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়।সেখানে সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করে তারা ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরের দিন তারা ছিনতাই করা ভ্যানটি ১৭ হাজার টাকায় আসামি শরিফুলের কাছে বিক্রি করে। শরিফুল আবার ২০ হাজার টাকায় ভ্যানটি অপর আসামি কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুলের কাছে বিক্রি করে দেয়।

গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামিকেই বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।