বাসস
  ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০২
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১১

সাদাছড়ি একটি শক্তি, এটা স্বাধীনতার প্রতীক : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বুধবার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : সাদাছড়ি একটি শক্তি, স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি সীমাবদ্ধতার নয়, বরং অসীম সম্ভাবনার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। 

রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এনপিডিএফ)-এ বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও প্রণোদনা প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো- ‘সাদাছড়ির আধুনিকায়ন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়ন’।

উপদেষ্টা বলেন, প্রতিপাদ্যটি সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। এটি শুধু নিরাপত্তার নয়, বরং অধিকার, মর্যাদা ও স্বনির্ভরতার প্রতীকও বটে।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, বর্তমান সরকার একটি বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে। 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস কেবল একটি উদযাপন নয়, এটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংহতি ও অধিকারের প্রতীক।

১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এ দিবস পালন করা হয়। এরপর ১৯৬৯ সালে শ্রীলংকার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের প্রথম বিশ্ব সম্মেলনের পর থেকে এটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ, সিডিডি’র জাহাঙ্গির আলম, ভিজ্যুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন মজুমদার ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী সহযোগিতা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. হারুন উর রশিদ।

অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘জনবহুল এলাকায় রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।’

তিনি অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল সমাজকর্মীরা আহতদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং তাদের পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানান।