শিরোনাম
বরিশাল, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, সমনি¦ত উদ্যোগে দুর্যোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, নদীর সংখ্যাধিক্য, ঘনবসতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের দেশে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।
‘সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সোমবার বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছরই বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস, অগ্নিকাণ্ড কিংবা নদীভাঙনের মতো দুর্যোগ জনগণের জীবন জীবিকা ও অবকাঠামো চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে। দুর্যোগ কোনো একক প্রচেষ্টায় মোকাবলা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা, প্রস্তুতি ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তবেই প্রকৃত দুর্যোগ প্রতিরোধে সফল হতে পারব।
উপদেষ্টা বলেন, উপকূল অঞ্চলে ইতোমধ্যে নির্মিত ও নির্মাণাধীন দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রস্তাবিত দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো আমরা পরিদর্শন করেছি। বিগত দিনে বেশকিছু আশ্রয়কেন্দ্র অযৌক্তিকভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় নির্মাণ করে জনগণের অর্থ অপচয় করা হয়েছে। তাই প্রস্তাবিত আশ্রুয়কেন্দ্রগুলো জনগণের গুরুত্ব বিবেচনায় নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, জনগণকে সঠিক সময়ে ও দ্রুততার সাথে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা পৌঁছে দিতে ঢেউটিন, শুকনো খাবার, কম্বল প্রভৃতি ত্রাণসামগ্রী কেন্দ্রীয়ভাবে ক্রয় না করে উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এর ফলে সরকারি অর্থ অপচয় কমবে এবং জনগণ উপযুক্ত সময়ে পাবে প্রয়োজনীয় সেবা।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, বরিশাল বিভাগের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।
এর আগে দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টার নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বরিশাল সার্কিট হাউজ থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভাগ ও জেলার সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।