শিরোনাম
মোহা. শরিফুল ইসলাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ১২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাট কেটে জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়িয়ে রোদে শুকাতে দেওয়ার কাজ অনেকটা শেষ পর্যায়ে এখন। এরইমধ্যে বাজারে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে পাট। এতে বেজাই খুশি চাষিরা। জেলায় এবার প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায়।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় পাট চাষ কিছুটা কম হলেও বাজারে দাম বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমণে এক হাজার থেকে ১৮শ’ টাকা পর্যন্ত দাম বেশি পাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে আবারও সোনালি আঁশে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন তারা। অপরদিকে, পাটের সুদিন ফেরাতে প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায়। ২০২৪ সালে এই দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এ বছর চৈত্র মাসে খরা এবং বর্ষার অতিবৃষ্টিতে ফলন আশানুরূপ না হলেও ভালো দাম পাওয়ায় সন্তুষ্ট কৃষকরা।
জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের পাট চাষি তোহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ বছর আবহাওয়ার কারণে ফলন একটু কমেছে কিন্তু দাম ভালো থাকায় কৃষকের জীবনটা বেঁচে গেছে। গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি এবং সামনে আরও বাড়তে পারে।
কৃষকদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিঘাপ্রতি মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে কৃষকরা আয় করছেন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই আবার সোনালি আঁশে নতুন স্বপ্ন দেখছেন তারা। তবে কৃষকরা পাট চাষে সরকারি সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবি তাদের।
এ দিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১ হাজারের বেশি কৃষকের মধ্যে পাট চাষে প্রণোদনার আওতায় সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন, চলতি বছর প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দিতে কোনো সমস্যা হয়নি। এতে শ্রমিক খরচও অনেক কমে গেছে। পাশাপাশি পানির মান ভালো থাকায় পাটের আঁশও বেশ উন্নত মানের হয়েছে। বাজারে এখন মোটামুটি ভালো দাম মিলছে। তবে দাম আরেকটু বাড়লে কৃষকেরা আরও লাভবান হবে।
তিনি আরও বলেন, গতবছরের তুলনায় এ বছর জেলায় পাট চাষ কিছুটা কম। ২০২৪ সালে জেলায় ২ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২৪০ হেক্টর।