বাসস
  ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩২
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০৩

রাসায়নিক দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় হাসপাতালসমূহের প্রস্তুতি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্ত

অর্গানাইজেশন ফর দ্যা প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপন্স’র (ওপিসিডব্লিউ) পরিকল্পনায় এবং বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন’র (বিএনএসিডব্লিউসি) বাস্তবায়নো কর্মশালা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী এবং প্রশিক্ষকগণের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করছেন। ছবি: আইএসপিআর।

ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : রাসায়নিক দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় হাসপাতালসমূহের প্রস্তুতি শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ সমাপ্ত হয়েছে। 

গত ৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১০টি দেশের ১৮ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং ছয়জন দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। 

অর্গানাইজেশন ফর দ্যা প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপন্স’র (ওপিসিডবিøউ) পরিকল্পনায় এবং বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন’র (বিএনএসিডবিøউসি) বাস্তবায়নে এই কর্মশালা আজ ঢাকায় গোল্ডেন টিউলিপ দ্যা গ্র‍্যান্ডমার্ক শেষ হয়।

উক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবহারিক ক্লাসসমূহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিএনএসিডবিøউসির চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থী, প্রশিক্ষক ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

রাসায়নিক দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের জরুরী চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশব্যাপী হাসপাতালসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রমের সূত্রপাত করাই ছিল এই প্রোগ্রামের মূখ্য উদ্দেশ্য। প্রশিক্ষণে জরুরি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, রাসায়নিক দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিকে রাসায়নিক দূষণ মুক্তকরণ পদ্ধতি, ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সেকেন্ডারি কন্টামিনেশন প্রতিরোধ শীর্ষক বিষয়াবলীর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী এবং প্রশিক্ষকগণের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। প্রশিক্ষণার্থীদের অর্জিত জ্ঞান রাসায়নিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা পরবর্তী চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে প্রধান অতিথি তার সমাপনী বক্তব্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও রাসায়নিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় হাসপাতালসমূহের প্রস্তুতির ওপর তিনি অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করেন। এই  প্রশিক্ষণে তিনি কেমিক্যাল উইপন্স  কনভেনশন বাস্তবায়নে ওপিসিডবিøউ’র সব উদ্যোগের বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রশিক্ষণটি সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘোষণা করেন।